দশমিনা-বাউফল প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীর দশমিনা-নলখোলা আসা যাওয়ার ব্যস্ততম ঝুঁকিপূর্ন ব্রিজ দখল করে দোকন বসায় পারাপারে পথচারীদের জনদূরর্ভোগ চরমে । ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। ব্রিজটির এক পাশ অবৈধভাবে দখল করে বসেছে হকার দোকান। এতে ব্রিজ দিয়ে পথচারীরা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছে না। হাঁটতে গিয়ে গায়ের সঙ্গে গা লেগে যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, ব্রিজের এক পাশ অবৈধভাবে দখল করে বসেছে ৫টি বিভিন্ন ধরনের দোকান। সেখানে জুতা, দাঁত মাজার ব্রাশ সামগ্রী ও কানের দুলের দোকান নিয়ে বসেছে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হাকডাক দিচ্ছে। উচ্চ শব্দে বাজানো হচ্ছে ছোট মাইক।
এসব দোকানের কারণে পথচারীরা ব্রিজ দিয়ে সহজে হাঁটতে পারে না। আঃ রসিদ ডিগ্রী কলেজছাত্রী শিল্পী রানী জানান, এ ব্রিজে হকাররা দোকান নিয়ে বসায় ঠিকভাবে হাঁটা চলা করা যায় না। ব্রিজটি অনেক সরু লাগে। এখানে সব সময় ভিড় লেগে থাকতে দেখা যায়।
এক প্রকার বাধ্য হয়ে আমাদের ব্রিজটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। স্কুল পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে ব্রিজ পার হচ্ছিলেন শান্তনা। তিনি বলেন, ব্রিজে মানুষ ঠেলাঠেলি করে চলতে হয়। তার ওপরে আছে হকারদের হাঁকডাক। ব্রিজে সারা বছর হকারদের দখলে থাকে। ব্রিজটিতে উঠলেই আমাদের অনেক অস্বস্তিতে পড়তে হয়। দিনকে দিন হকারের সংখ্যা এখানে বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন আমাদের বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়।
ব্রিজের দোকানদার মো. মনির হোসেন জানান, ব্রিজে বসে জুতা বিক্রি করে আসছি। আমরা এখানে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকানদারি করি। আমরা কয়টা টাকা কামানোর জন্য বসেছি
এ বিষয়ে থানা ওসি জসীম বলেন, ব্রিজ দখল নিয়ে কেউ ব্যবসার দোকান নিয়ে বসলে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। আর এখন পর্যন্ত আমরা কোনো উচ্ছেদ অভিযান চালাইনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস জানান, ব্রিজ দখল করে দোকান নিয়ে বসলে তাদেও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ্য গ্রহন করা হবে।