রাজধানীর হাজারীবাগের আমলি টাওয়ার গলিতে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছুরিকাঘাতে জুলেখা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ।
জুলেখা বেগমকে আহত অবস্থায় আজ রাত পৌনে ৯টা নাগাদ মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জুলেখা বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার আয়োডিহি গ্রামের নুর উদ্দিন শেখের মেয়ে। বর্তমানে হাজারীবাগের ঝাউচরে ভাড়া থাকতেন। তিনি বাসা–বাড়িতে কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে স্বজনরা।
নিহতের বর্তমান স্বামী কবির বলেন, ‘আমি চলতি মাসের ২০ তারিখে জুলেখা বেগমকে বিয়ে করেছি। আমি সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করি। ডিউটি করার সময় জানতে পারি আমার স্ত্রীকে তাঁর সাবেক স্বামী নজরুল ইসলাম পেটে ছুরি মেরে হত্যা করেছে। ছুরি মারার সময় স্থানীয় জনতা তাঁকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।’
নিহত জুলেখার ভাগ্নী ইয়াসমিন বলেন, ‘আমার খালা আর তাঁর সাবেক স্বামী নজরুল ইসলাম আপন চাচাতো ভাই–বোন ছিলেন। তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলেকে বিয়ে দিয়েছে, তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। আমার বড় খালু নজরুল ইসলামকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করেন বর্তমান স্বামী কবির হোসেন। চলতি মাসে কবির হোসেন তাঁকে বিয়ে করেন। সেই ক্ষোভে আজ নজরুল ইসলাম আমার খালার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জানাযন আমার খালা আর বেঁচে নেই।’
ইয়াসমিন আরও বলেন, ‘আমার খালা বাসা–বাড়িতে কাজ করতেন।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইয়াসমিন বলেন, ‘আজকে যদি কবিরকে আমার খালা বিয়ে না করতেন, তাহলে তাঁকে জীবন দিতে হতো না। নজরুল ইসলাম রাগে–ক্ষোভে আমার খালাকে হত্যা করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাজারীবাগের আমলা টাওয়ার এলাকায় এক নারীকে পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়ার পর স্থানীয় জনতা নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর আহত জুলেখা বেগমের মৃত্যু হয়। আমরা জানতে পেরেছি নজরুল ইসলাম নিহত জুলেখা বেগমের সাবেক স্বামী। বর্তমানে নজরুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি আমাদের কাছে আটক রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।’