২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন হাইকোর্ট।
এ লক্ষ্যে মামলাটি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এই মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করেন।
ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মামলার আসামিরা খালাস পান।
হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স, আপিল এবং অন্যান্য আবেদন শুনানি শেষে এ রায় দেন।
রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক মামলা নিয়ে মোট ৭৯ পৃষ্ঠার দুটি পৃথক রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন এবং শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
হামলার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ওই সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তৎকালীন সরকার মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে সক্রিয় ছিল।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরায় তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়।
আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্তে আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলায় রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি এর আগেই কার্যকর হয়।