১৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। বাংলাদেশের পেসারদের তোপে ৪৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ‘দ্য ব্লুজ’। আয়ুশ মাহাত্রী ১, বৈভব সূর্যবংশী ৯ ও আন্দ্রে সিধার্থ ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন কার্তিয়া ও অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান মিলে। তবে দলীয় ৭৩ রানে ৪৩ বলে ২১ রান করে আউট কন কার্তিয়া। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত। হারভাংস পাংগালিয়া ৬, কিরণ চোরমেল ১ ও রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান নিখিল কুমার।
এরপর অধিনায়ক আমান হার্দিক রাজকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই দুই ব্যাটার ৩৪ রানের জুটি উপহার দেন। তবে দলীয় ১১৫ রানে ৬৫ বলে ২৬ রান করে আমান আউট হওয়ার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের জয়।
এর আগে, মূলত নবম উইকেটে ফরিদ হাসান ও আল ফাহাদের ৩১ রানের জুটিতে বাংলাদেশ ২০০ রানের কাছাকাছি সংগ্রহ তুলতে পেরেছিল।
১৬৭ রানেই ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য আশা জাগানিয়া ছিল। প্রথম ওভারে যুধাজিৎ গুহর বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের রানের খাতা খোলেন জাওয়াদ আবরার। অন্য প্রান্তে কালাম সিদ্দিকী অবশ্য রান বের করতে পারছিলেন না। যুধাজিতের বলে আউট হন ১৬ বলে ১ রান করে। জাওয়াদও আউট হন পাওয়ার প্লে শেষ হতেই, ২০ রান করে।
ইনিংস দীর্ঘায়ত করতে পারেননি দলের সবচেয়ে বড় তারকা আজিজুল হাকিমও। ১৬ রানে আউট হয়েছেন। আজিজুলের উইকেট বড় ধাক্কা হয়ে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। কারণ, এই টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে অনেকটা একাই টানছিলেন তিনি।