সকাল কি হবে না পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে না কি জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে নিবো আরো একটু।
বাহিরে বেরুলে শুনতে হয় আর্থনাথ, আজ বুঝি আমার কলিজায় আঘাত হানতে পারে
আমিও মানুষ তুমিও তো মানুষ কেন দিচ্ছো এ-ই আতঙ্ক ভয়।
কাল সূর্যদয়ের সূর্য টা কি আমার বোন দেখতে পারবে না। কথা দেবে ভাই কাল আমার আমার বোনটা রাস্তা দিয়ে হেটে যাবে নির্ভয়, না কি আবার ও শুনতে পাবো বুকফাটা আর্থনাথ। আমি বাবা, আমি ভাই, আমি ঐ মেয়েটির অর্ধঙ্গি, আমি ঐ মেয়েটির ছেলে।
আজ মা ভয় পায় তার মেয়ে কে রাস্তায় একা ছাড়তে, ভয় পায় স্কুল কলেজে একা দিতে, ভয় পায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে দিতে, ভয় তার স্বজনদের সাথে দিতে।
আমরা কি পারি না, আগামী সকাল টাকে সুন্দর করে দিতে কেউ পাবে না ভয়।
ভয় হবে জয়।
কবে পাবে এ-ই যুদ্ধ থেকে নিস্তার, ভয় কে কি দুর করা সম্ভব নয় কি?
আমার জন্য কি একটা বোন সোনালী সূর্য উদয় না দেখার কারন?
সে কি ফিরবে না আর একা ঐ পথে, যে পথে যেতে হবে ক্যাম্পাসে, যে পথে যেতে অলিগলি ভেদ করে মুক্ত বাতাসে, যে পথে যেতে হবে তার গন্তব্যে।
তাহলে কি তার ঠিকানা হবে, কোন এক নোংরা পরিত্যক্ত হায়নাদের শিকারে?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুললেই দেখি ধর্ষন, নির্যাতন,হামলা, এটা যেন চায়ের কাপে চুমুক এর নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গেছে।
আমরাই সুশীল সমাজের মানব, আমরাই তো সমাজ কে রক্ষা করি, সমাজ গরি আবার সেই সমাজ ভাঙ্গি।
তবে কেন আজ প্রত্যেকটা পরিবার হুমকির মুখে, মা,বোন, বউ হয়তো আমার নয়তো তোমার।
আজ আমার বোন, আগামী কাল তোমার বোন শিকার হচ্ছে নির্যাতনের, ঐ মেয়েটি কাল তো যাবে না তার স্বামীর সাথে কোথাও।
মেয়েটি তার নিজ ঘরে থাকতেও বড্ড ভয় লাগে তার।।।
আমাদের হাত ধরেই পরিবর্তন আসছে,
পরিবর্তন আসবে।।।
আর নয় নোংরা, অসালিন ভাবে নির্যাতন যেটা প্রতিটা মানবজাতিকে ভাবায়।।
যেখানে থাকবে না কোন আতংক, ভয় বিরাজমান।।
এএসবিডি/আরএইচএস