ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ আইজিপির।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেছেন, কোভিড-১৯ এর ক্রান্তিকালে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অনেক মানুষ গ্রামে যাবেন। ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আইজিপি আজ (২১ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে সকল মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলার পুলিশ সুপার এবং বিশেষায়িত ইউনিটের কর্মকর্তাদের সাথে এক ভার্চুয়াল সভায় এ নির্দেশ দেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজি ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজি এম খুরশীদ হোসেন, ডিআইজি ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ডিআইজি মোঃ হায়দার আলী খান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশ কর্মকর্তাদের কাজ করার আহবান জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশের প্রতিটি ইউনিটের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। ঈদ যাত্রায় কেউ কোন সমস্যায় পড়লে তাকে সহযোগিতা করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান আইজিপি।
বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহবান জানান তিনি।
আইজিপি পুলিশ সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ সংক্রান্তে সরকার এবং পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দেন ।
তিনি ঈদকে কেন্দ্র করে বিশেষায়িত নৌ পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ ইউনিটকে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সভায় এআইজি (অপারেশন্স) মোহাম্মদ এহসান সাত্তার আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে শপিং মল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশন, ঈদ জামাত এবং বিনোদন কেন্দ্র কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং ফোর্সের কল্যাণ সংক্রান্ত সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয় তুলে ধরেন।
সভায় শপিং মল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বড় ধরনের আর্থিক লেনদেন বা অর্থ পরিবহনের ক্ষেত্রে মানি এস্কর্ট প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। জাতীয় ঈদগাহসহ দেশের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্তও সভায় গৃহীত হয়।
সভায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস ও ট্রেনের ছাদে এবং নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ভ্রমণ না করার জন্য যাত্রীসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।