শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

আটপাড়ায় বাদে বড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে দূর্নীতির ও অনিয়মের অভিযোগ।

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০

তানজিলা আক্তার রুবি :আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের বড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে বরাদ্দকৃত স্লিপের টাকা দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে । নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন বাদে বড়তলী এলাকা মোঃ হাদিস মিয়া ।
অভিযোগে উল্লেখ যে ,বাদে বড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের পিতা- মৃত. ইদ্রিস মিয়া জমি দাতা হিসেবে চাকরিরত হন তিনি তাছাড়া তার স্ত্রী ও একই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে আছেন । করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে সময় মত স্কুলে উপস্থিত হতো না ।প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী বিভিন্নভাবে স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত স্লীপের টাকা দিয়ে কিছু সামগ্রী ক্রয় করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ জায়গা সরকারের নামে দলিল করে দেওয়া সত্বেও ৪০ শতাংশ জায়গা নেই এবং প্রধান শিক্ষকের নামে ২০১৬ সালে নিজের নামে খারিজ করে নেন ।
সরেজমিনে গেলে প্রধান শিক্ষক বাড়িতে থাকা সত্বেও গণমাধ্যম সাথে কোন যোগাযোগ বা সামনে আসেনি তাই উনার সাথে বা স্লীপের বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে ক্রয়কৃত সামগ্রী দেখা সম্ভব হয়নি।

মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা , ৪০ শতাংশ থেকে পাশের জমি খারিজ করতে গিয়ে স্কুলের জায়গা খারিজ হয়ে যায় তার জন্য সংশোধন করার আবেদন ও করেছি ।

এদিকে এলাকাবাসী জানান ,স্কুলের সরকারি কোন নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামত স্কুল পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং সরকারি বরাদ্দকৃত কাজ কিছু করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে উল্টাপাল্টা কথা শোনায় ” যে আমরা জিজ্ঞাসা করার কে”এভাবেই তিনি তার উত্তর এড়িয়ে যায়। স্কুলের বাচ্চারা টয়লেট ব্যবহার করতে পারে না বাড়িতে এসে টয়লেট করে যায় , টয়লেট কি সরকার কেন দিয়েছে। কিছুদিন আগে এলাকার কয়েকজন কে নিয়ে স্কুলের জায়গা মাপা হয় এতে৪০ শতাংশ জায়গা হতে ৩৪ শতাংশ জায়গা পাওয়া যায় বাকিটা অন্যের নামে খারিজ করে দিয়েছে বলে জানায়।

২য় শ্রেনীর এক ছাত্রের সাথে টয়লেটের বিষয়ে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। যে টয়লেট তাদের ব্যবহার করতে দেয় না তালা দিয়ে আটকে রাখে, শুধু শিক্ষকের টা খোলা থাকে।

হাদিস মিয়া বলেন, স্কুলের নামেমাত্র কমিটি গঠন করেছে প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি লতিব মিয়া কখন কি আসে না আসে তা কেউ জানেনা ,বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে কি কাজ করে তাও কমিটির ও এলাকার মানুষ জানেনা যদি জানতে চায় প্রধান শিক্ষক হুমকি দিয়ে থাকে কাউকে তোয়াক্কা করে না পড়াশোনা ও ঠিক মতো হয় না । স্কুলের কাছে বাড়ি থাকার সুবাদে যা ইচ্ছা তাই করে দেরি করে স্কুলে আসা যাওয়া করে । এলাকার সবাই প্রধান শিক্ষক একদিল মিয়ার প্রতি ক্ষিপ্ত ।

তাই ইউনো মহোদয় এবং শিক্ষা অফিসার বরাবর বাদে বড়তলী এলাকাবাসীর দাবি প্রধান শিক্ষক একদিল মিয়া এবং তার স্ত্রী সহকারি শিক্ষক নাসরিন সুলতানা কে তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার এবং বদলি করার ব্যবস্থা করবেন বলে জানায়।

অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে কিছু না বলে ওই স্কুলের ক্লাস্টার হিসাবে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন। উনি কি দায় এড়িয়ে গেলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102