বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব লক্ষ্মীপূজা আজ বুধবার। নানা আয়োজনে এই পূজা করবেন বাঙালি হিন্দুরা। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীপূজা হয়। এই পূর্ণিমাকে বলা হয় কোজাগরী। সে জন্য এই পূজা কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত।
শাস্ত্রমতে, দেবী লক্ষ্মী ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। উন্নতি, আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবী হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মী। তাই লক্ষ্মী ঐশ্বর্যের দেবী।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, আজ (বুধবার) রাত ৮টা ১৩ মিনিট থেকে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে। কাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে এই তিথি শেষ হবে।
হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে পূজা গ্রহণ করতে আসেন। সে কারণে বাঙালি হিন্দুদের ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজা হয়। বার্ষিক এই পূজা ছাড়াও প্রতি বৃহস্পতিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক পরিবারে লক্ষ্মীপূজা হয়।
লক্ষ্মীপূজায় অনেক হিন্দু নারী উপবাসব্রত পালন করেন। পূজা অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আলপনা আঁকা হবে। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বলন করা হবে। সাধারণত ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষ্মীপূজায় বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
ঐশ্বর্য্যরে দেবী লক্ষ্মীকে বিশ্বের নানা অঞ্চলে নানাভাবে পূজা করা হয়। বাঙালি বিশ্বাসে লক্ষ্মী দেবী দ্বিভুজা ও তার বাহন প্যাঁচা এবং হাতে থাকে শস্যের ভান্ডার। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি হিন্দু সমাজে রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহস্থ পর্যন্ত সবাই লক্ষ্মী দেবীর পূজা করে আসছেন।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, রামসীতা মন্দির, পঞ্চানন্দ শিব মন্দির, গৌতম মন্দির, রাধা মাধব বিগ্রহ মন্দির, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির এবং পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লক্ষ্মীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর রমনা কালীমন্দিরে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটায় লক্ষ্মীপূজা হবে। রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বলেন, বুধবার রাত আটটার পর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি চলার সময় লক্ষ্মীপূজা করা যাবে।
লক্ষ্মীপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে উপবাসব্রত পালন করেন। পূজা অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আলপনা আঁকা হবে। সাধারণত ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষ্মীপূজায় বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।