সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত আগামী ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স কমিটিকে এই আদেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত এসপি খন্দকার মো. শফিকুল আলম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ১৮ নভেম্বর ধার্য করেন। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১১২ বার পেছানো হয়েছে।
এর আগে, ১ অক্টোবর মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলী রোমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করার আনুমতি দেন।
শিশির মনির ছাড়া অন্য আইনজীবীরা হলেন মুজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মহিউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইকবাল হোসেন ও মোত্তাকিন হোসাইন।
এ মামলার আসামিরা হলেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে নিজ বাসার শয়ন কক্ষে হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরে বাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।