গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় মিজান সিকদার (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের নীলফা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সকালে গ্রেপ্তার মিজানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আহাম্মেদ আলী বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় মিজান সিকদার দুই নম্বর আসামি ছিলেন। রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন মিয়া বাদী হয়ে কুশলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদারসহ ৬১ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিজ বাড়িতে আসার কর্মসূচি ছিল। ওইদিন বিকেল ৪টায় তার গাড়ি বহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া পৌঁছালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হামলা করে। পরে তিনি গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা ফিরে যান।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীকে স্বাগত জানানোর জন্য টুঙ্গিপাড়ার কুশলী ইউনিয়নের নীলফা বাজারে অবস্থান করছিল বিএনপি নেতা-কর্মীরা। তখন ঘোনাপাড়ার ওই মারামারির ঘটনাটি জানাজানি হলে কুশলীর আওয়ামী লীগ নেতারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এছাড়া এসএম জিলানীকে স্বাগত জানানোর তোরণ ফেস্টুন ভাঙচুর করে।