মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্তে ১৫ হাজার ২৫০ ভারতীয় রুপিসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গ্রেপ্তারকৃত মো. মুজিবুর রহমান (৪৮) ভারতীয় নাগরিক বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ম্যধরাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়াইল এলাকা থেকে লাতু বিজিবি সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় মুজিবুরের কাছ থেকে ভারতীয় রুপিসহ ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজিবি লাতু বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. আছমাত উল্লাহ ঠাকুর আটক ভারতীয় নাগরিককে থানায় সোপর্দ করে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা করেছেন। বিকেলে থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মো. মুজিবুর রহমান ভারতের আসাম রাজ্যের নয়াগাঁ জেলার ডাবুক হোজাই থানার চাংমাঝিগাঁ গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।
জানা গেছে, বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের লাতু বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. আছমাত উল্লাহ ঠাকুরের নেতৃত্বে একদল বিজিবি সদস্য মঙ্গলবার রাতে বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় সীমান্তের মেইন পিলার ১৩৬৫ থেকে আনুমানিক ৩১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বড়াইল এলাকায় বিজিবি সদস্যরা একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পরে দুই আরোহীর একজন ভারতীয় নাগরিক মুজিবুর রহমানকে মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। অপরজন বাংলাদেশি নাগরিক লোকমান হোসেন কৌশলে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আটক ভারতীয় নাগরিকের দেহ তল্লাশি করে বিজিবি ১৫ হাজার ২৫০ ভারতীয় রুপি, একটি মোবাইল ফোন, বেশ কিছু ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রীসহ অবৈধ মালামাল উদ্ধার করে।
বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) ফরিদ উদ্দিন জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে বিজিবি আটক ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের (বিয়ানীবাজার) অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদি হাসান জানান, বড়লেখা, বিয়ানীবাজার ও জুড়ী সীমান্ত দিয়ে সবধরণের চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের কড়া নজরদারি রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।