শরিফা বেগম শিউলী, রংপুর প্রতিনিধিঃ রংপুরের পীরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক অন্যায় ভাবে কৃষকের ২ লক্ষ টাকা মুল্যের ৩টি গরু নিলামে বিক্রির পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বুধবার সকালে উপজেলার ২নং ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- উক্ত ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলী খানের পুত্র শরিফুল ইসলাম সোনা ও হাফিজার রহমান খানের দীর্ঘদিন ধরে বাড়ীর ভিটার জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই এক পর্যায়ে হাফিজার রহমান শরিফুলের রিরুদ্ধে ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একটি
অভিযোগ দেয়। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ইউপি
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সমর্থক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি ১ম
শালিশি বৈঠকের নোঠিশ প্রদান করে। পরবর্তীতে আর কোন নোটিশ প্রদান না
করে যোগ সাজশ করে শরিফুলের অনুপুস্থিতিতে শালিশের রায় প্রদান করে। উক্ত রায়ে শরিফুলের ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করে গ্রাম্য পুলিশ দ্বারা জানিয়ে দেয়া হয়। এ
অন্যায় রায় করায় অস্বীকার করায় গত বুধবার সকালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ৮জন
গ্রাম্য পুলিশ ২জন ইউপি সদস্য অভিযুক্তের বাড়ী থেকে জোর পুর্বক উক্ত নিরিহ
কৃষকের একমাত্র সম্বল প্রায় ২ লক্ষ টাকা মুল্যের ৩টি গরু ইউপি পরিষদে নিয়ে
এসে নিলামে বিক্রির পায়তারা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে নিলামের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে। ভুক্তভোগি অসহায় কৃষক নিরুপায়
হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাহী অফিসারের নিকট ন্যায় বিচার চেয়ে একটি
অভিযোগ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে গ্রাম্য আদালতের উপজেলা সমন্বয়কারি মুক্তার আলীর সাথে কথা হলে
তিনি বলেন- গ্রাম আদালতের মুল ভমিকা হল, পারিবারিক, জমাজমি সংক্রান্ত,
ছোট খাটো বিরোধ গুলো সর্বচ্ছ মেধাদিয়ে নিষ্পত্তি করা। কিন্তু কোন অভিযুক্ত ব্যাক্তি এই আদেশকে অমান্য করলে বিরোধটি বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার অথবা বিজ্ঞ আদালতে বিচারের জন্য প্রেরন করতে পারে। অভিযুক্ত ব্যাক্তি বিচার অমান্য করলেও চেয়ারম্যান কখনোই অভিযুক্তের গরু বা স্থাবর
সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করতে পারে না।
চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- ইউপি পরিষদের গ্রাম
আদালতের এ এখতিয়ার রয়েছে, এতে কোন আইনি জটিলতা নেই।
এএসবিডি/আরএইচএস