পুনম শাহরীয়ার ঋতু, ঢাকাঃ গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব চান্দরা এলাকায় অবস্থিত এম এ হাবিজ উদ্দিন স্কুল সাত শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও ৩০ জন শিক্ষক নিয়ে এ স্কুলের চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
কোভিড-19 নামক ভায়নক ভাইরাস আজ সমগ্র বিশ্বকে মহামারির অতল সাগরে নিমজ্জিত করেছে। আর এতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও কবলিত। ফলে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু দেশের শিক্ষা দান কার্যক্রম যেন কোন ভাবেই ব্যহত না হয় সে লক্ষ্যে সরকার অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে। কিছু সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসলেও বেশিরভাগ বেসরকারি ও প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বা পরিচালক শিক্ষকদের বেতন, স্কুল ভাড়া, যথেষ্ট অবকাঠামো, বিশেষ করে ইচ্ছাশক্তির অভাবে একার্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত হয়নি। আর এইখানেই এম এ হাবিজ উদ্দিন স্কুল এর বড় সাফল্য। কেননা অত্র স্কুলের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক জনাব এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী জানেন,
“একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিভাবে রূপায়িত হয়?”এর ধারাবাহিকতায় মহামারী করোনা ভাইরাস চলাকালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন ভিত্তিক ক্লাশ চালু করেছে এম এ হাবিজ উদ্দিন স্কুল, নিয়মমতো অনলাইন ক্লাস সহ পরীক্ষা এবং কি সকল জাতীয় প্রোগ্রাম অনলাইন ভার্চুয়াল এর মাধ্যমে পরিচালনা করছে এম হাফিজউদ্দিন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে অনলাইন ভার্চুয়াল এর মাধ্যমে।
অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন করোনা ভাইরাস চলাকালে স্কুল বন্ধ তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনা পিছিয়ে না পরে তার জন্য এ অনলাইন ভার্চুয়াল ক্লাশের আয়োজন
তাই তিনি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রিয় বিদ্যাপীঠ ও কর্মস্থল এম হাবিজ উদ্দিন স্কুল-কে অনন্য মর্যাদায় রূপায়িত করতে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন, সঙ্গী করেছেন সহ:প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ন কবিরকে। এবং এক ঝাঁক তরুন উচ্চ শিক্ষিত নিরলস শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রচেষ্টায় সফল করেছেন অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম। পরিচালক স্যার জানেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্যই হলো নৈতিক, মানবিক ও কল্যাণমুখী জাতি গঠনে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, হোক না যতোই মহামারী, দূর্যোগ বা অন্য কোন প্রাকৃতিক সংকট মুহূর্ত। কেননা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবিরত পুনর্গঠনের মাধ্যমে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয় সে শিক্ষাও শিক্ষার্থীদের প্রদান করে থাকে। এজন্য তিনি নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রাখতে সরকারি নির্দেশনা মেনে অনলাইন পাঠদান ও মূল্যায়ন অব্যাহত রেখেছেনে।
এতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলাধীন “এম হাবিজ উদ্দিন স্কুল” শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি“কোভিড-19 মোকাবেলায় অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী ও শিক্ষার্থীদের মনে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন এবং করোনা ভাইরাস রুখতে নতুন প্রত্যয় জাগ্রত করে প্রশংসার ফুলঝুড়ি কুড়িয়েছে। আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও অনলাইন বেইজ হিসেবেও বাস্তবায়ন করেছেন। কেননা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা’র ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অত্র প্রতিষ্ঠান দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছে। আর আমাদের মাননীয় নেত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সুবাদে আজ যুগোপযোগী যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণেই বিদ্যমান মহামারী মোকাবেলা পদ্ধতিও অনন্য। শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করেছেন নতুন নতুন সব পরিকল্পনা। যেখানে রয়েছে শিক্ষার্থীদের অনলাইন লিসন প্ল্যান (পাঠ পরিকল্পনা), অনলাইন ক্লাস রুটিন, নোটিফিকেশনের জন্য রয়েছে এসএমএস ব্যবস্থা।
অনলাইন রুটিন অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রেণি অনুসারে ডিজিটাল কনটেন্ট-এর মাধ্যমে আলাদা লাইভ ক্লাস ভিডিও স্ট্রিম মেনুর ব্যবস্থা, সংযোগ করেছেন ফেসবুক লাইভ, ইউটিউব লাইভ ও বিষয় ভিত্তিক শ্রেণি শিক্ষকের জুম এ্যাপ লাইভ ক্লাসে অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা। আনলাইনে পাঠদানকৃত হুবহু কপি লেকচার শিট আকারে শিক্ষার্থীদের ডাউন লোডের ব্যবস্থা। এছাড়াও অনলাইন ক্লাসের আলোকে সাপ্তাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা। যা স্কুল ওয়েব সাইট থেকে শিক্ষার্থীরা আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সংগ্রহ করতে পারে এবং ম্যাসেঞ্জার, ই-মেইল বা নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে উক্ত মূল্যায়ন পত্র স্কুলে জমা দিতে পারে। মূল্যায়ন শেষে ফলাফল অনলাইনে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। এগুলো অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত চলমান প্রক্রিয়া।
শুধুমাত্র তাই নয়, শিক্ষার সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার্থে অনলাইন মিটিং-এর ব্যবস্থাও করেছেন। যে শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানকে আরো উন্নত ও বেগবান করেছে। আর শিক্ষা সংক্রান্ত এসকল উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে চলেছে উদ্দীপনা, সৃষ্টিশীল ও বাস্তব জীবনমুখী শিক্ষা। সরকার ঘোষিত সিদ্ধান্তের গুরুত্ব বিবেচনা, নিজ শিক্ষার্থী ও দেশেরে অন্য সকল শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও ভবিষ্যত শিক্ষা অব্যাহত রাখতে বহুমুখী কার্যক্রম দ্বারা প্রমাণ করছেন “এম হাবিজ উদ্দিন স্কুল” ও এই বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ আদর্শ ও মহিমান্বিত। তাই তো সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলীর পক্ষ থেকে অনলাইন পাঠদান ব্যবস্থাপনায় অসমান্য অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক, ২০২০।
এএসবিডি/আরএইচএস