দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রাথীর অজয় কুমার সরকারের কর্মীকে মারধর করে হ্যান্ড পোস্টার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে
আদমদীঘি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রশিদুল ইসলাম। এর আগে দুপুরে উপজেলার
জনতা ব্যাংকের সামনে ঘটনাটি ঘটে। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ও আওয়ামী লীগ নেতা খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদীর কর্মী সমর্থকরা এই হামলা চালান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আদমদীঘি জনতা ব্যাংকের সামনে কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীর অজয় কুমারের নির্বাচনী প্রচারণার কাজ
করছিলেন উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক রশিদুল ইসলাম রশিদ। এ সময় সেখানে
ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হক
আবুর নেতৃত্বে সুমিনুল ইসলাম, নয়ন হোসেন ও সাগরসহ অন্তত আরও ২৫ জন এসে রশিদুলের কাছে থেকে ১০ হাজার হ্যান্ড পোস্টার ছিনিয়ে নেন। তারা রশিদুলের শার্টের কলার ধরে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি মারেন। পরে একই দিন বিকেলে রশিদুলের বাড়ির সামনে আসেন হামলাকারীরা। সেখানে তার পথরোধ করে ফের হামলার চেষ্টা করলে রশিদুল পালিয়ে
যান। উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রশিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে অজয় কুমার
সরকারের হয়ে কাজ করার পর থেকে আমার ওপর হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছিল। গতকাল ট্রাক
প্রতীকের প্রাথর্ীর লোকজন আমাকে মারধর করে হ্যান্ড পোস্টার কেড়ে নিয়েছে। সেই
সাথে প্রাণ নাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীরা অজয় কুমার সরকার বলেন, আমার কর্মীদের একের পর এক ভয়
দেখাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করার প্রস্তুতি চলছে। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে খঁান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদীকে কল করা হয়। কিন্তু তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আমরা অভিযোগটি তদন্ত করবো। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।