দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী -২ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ফেনী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোসাম্মৎ শাহীনা আক্তারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এসময় অন্যদের মধ্যে ফেনী-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল বাশার, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ, সহ-সভাপতি খায়রুল বশর মজুমদার তপন, এডভোকেট প্রিয় রঞ্জন দত্ত, দপ্তর সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ.কে.শহীদ খোন্দকার, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট এম.শাহাজাহান. সাজু, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল কবির রতন উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা শেষে নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, আগামী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে অতীতের ন্যায় আগামীতেও আপনাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন ফেনীতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমনটা প্রত্যাশা করেন নিজাম উদ্দিন হাজারী। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করার জন্য ফেনীসহ সারাদেশে নাশকতা করছে এবং আজকেও ফেনীর ইসলামপুর রোডে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সম্মুখীন হয় সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, আমেরিকাতেও এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। গণতান্ত্রিক দেশে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বার নৌকা প্রতীকে নিজাম উদ্দিন হাজারীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল পুরো ফেনী শহরে। উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সাল থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো নৌকার মনোনয়নপ্রাপ্ত হলেন নিজাম উদ্দিন হাজারী।
প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা বাছাই করবেন ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের
ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।