তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:বরগুনার তালতলীতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল রাজ্জাকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফী মামলা করায় বাদিকে গায়েবী মামলা ও জীবনাশের হুমকি। হুমকি দাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগিরা।
রবিবার(২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তালতলী সাংবাদিক ফোরামে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগি শাকিল ও প্রিন্স।
লিখিত বক্তব্য ও মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল রাজ্জাকসহ তিন জন একই এলাকার শাকিল হোসেন ও প্রিন্স এর পারিবারিক বিয়ের ছবি সংগ্রহ করেন।
এর পরে গত ১৫ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে তালতলী পশু হাসপাতালের সামনে ছাত্রলীগ সম্পাদক রাজ্জাক,মিলন ফরাজী ও শামিম সিকদার, শাকিল ও প্রিন্সকে ঢেকে নেন।
এর পরে শাকিল ও প্রিন্স এর স্ত্রীর ছবি কম্পউটারে এডিট করে আপত্তি কর ভাবে দেখান এবং ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন নয়তো। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হবে। স্ত্রীর ও পরিবারের সম্মান বাঁচাতে
পরবর্তীতে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
বাকি টাকার জন্য তারা ২ ঘন্টা সময় দেন। সময় অতিবাহিত হয়ে ও বাকি টাকা দিতে না পারায় করলে ঐ পর্ণো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেইসবুকে মেঘ মায়াবতী নামক একটি আইডি থেকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ থেকে ডিলিট করার অনুরোধ করলে দাবিকৃত বাকি টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা দিতে না পারায় ফের ফেইসবুকে ছেড়ে দেয় ঐ পর্ণোগ্রাফি যা মূহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। যা আমাদের সামাজিক ভাবে মানসম্মান নষ্ট হয়। উপায় না পেয়ে বিচারের জন্য থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে পরামর্শ দেওয়া হয় কোর্টে মামলা দেওয়ার জন্য। কিছু দিন পরে আমি বাদি হয়ে আমতলী জুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেস্ট কোর্টে পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮/২,৩,৭ তৎসহ ৩৮৫ ধারায় মামলা করি ও বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাকে এজাহারের জন্য বলেন। পরে মামলাটি তালতলী থানায় এজাহার ভুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা করায় ছাত্রলীগ সম্পাদক আবদুল রাজ্জাকসহ তার সহযোগিরা আমাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা ও হত্যার হুমকি দেয়। হুমকি দাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে সংবাদসম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চান।