ঝিনাইদহে বিএনপির গনঅনশনে জনতার ঢল।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবীতে শনিবার গনঅনশন কর্মসুচি পালন করে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। এ উপলক্ষ্যে সকাল থেকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকে জেলার ৬ উপজেলা ও ঝিনাইদহ পৌর এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টা থেকে গনঅনশন কর্মসূচি শুরু হয়, চলে বিকাল পর্যন্ত। বেলা ৩টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজের আলী জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট এম এ মজিদ ও এ্যাড এস এম মসিউর রহমানসহ উপস্থিত নেতাকর্মীদের মুখে শরতব তুলে দিয়ে অনশন ভঙ্গ করান। এ উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে জেলা বিএনপির জৈষ্ঠ্য নেতা আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট এম এ মজিদ। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক এ্যাডভোকেট এস এম মসিউর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পপ্পু, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা. আলমগীর হোসেন আলম, এ্যাড দবির হোসেন, মহেশপুরের মেহেদী হাসান রনি, শৈলকুপার রবিকুল হাসান দিপু, হরিণাকুন্ডুর জিন্নাতুল হক, কোটচাঁদপুরের আব্দুর রাজ্জাক, কালীগঞ্জের আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদল সভাপতি আহসান হাবিব রণক,সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক আহম্মদ মহিলা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার লিজি,সম্পাদক তহুরা বেগম,জিয়া পরিষদের প্রভাঃ জুলফিকার আলী, এ্যাডভোকেট মাকসুদ আহম্মদ রাজিব, এ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান মনির, মোঃ ইমরান আল আজাদ, মোঃ ইমরান হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ছাত্রদল নেতা এস এম সমিনুজ্জামান সমিন, মুশফিকুর রহমান মানিক, নয়ন হাওলাদার, শ্রমিক দল নেতা আবু বকর, শিবলু খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মজিদ বলেন, “হাসিনা সরকার শুধু ভোট চুরি করেই রেকর্ড গড়েনি, মেগা প্রজেক্টের নামে বিদেশ থেকে ঋন নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে ও দেশের সম্পদ পাচার করেও বিশ^ব্যাপী নজীর সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এই ভোট চোর শেখ হাসিনা সরকারের সহায়তাকারী মন্ত্রী এমপিসহ সবাইকে বিচার করা হবে এই দেশের মাটিতে। দেশের মানুষ তাদের ছাড় দিবে না। তিনি বলেন আজ দেশের গনতন্ত্র জেল খানায় বন্দি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা। এ জন্য তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে দিচ্ছে না। গনতন্ত্র, মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা হরণের দায়ে একদিন শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের চরম মুল্য দিতে হবে, তখন আর পালাবার পথ খুজে পাবে না, হয়তো সেই দিন আর বেশি দুরে নয়”।