মোঃ আরমান হোসেন দিনাজপুর প্রতিনিধিঃদিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের উপর হামলার ঘটনায় রবিউল ইসলাম নামে সাবেক সরকারী কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক রবিউল পুলিশের নিকট প্রাথমিকভাবে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
এছাড়াও ইউএনওর বাসভবনের নৈশ্যপ্রহরী নাদিম হোসেন পলাশকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।শনিবার বিকেলে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।শুক্রবার তাকে আটক করা হয়। আটক রবিউল ইসলাম জেলার বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, গেল ২ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর থেকে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিউল ইসলাম নামে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সরকারী কর্মচারীকে আমরা আটক করেছি। আটক রবিউল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে নিজের দায় স্বীকার করেছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছি। এছাড়া তার বক্তব্য ও জব্দ করা সিসিটিভ ফুটেজের সাথে মিল পাওয়া গেছে। আমরা অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করব।
প্রেস ব্রিফিং শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য গোয়েন্দা পুলিশ যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলাম ও ইউএনওর বাসভবনের নৈশ্যপ্রহরী নাদিম হোসেন পলাশকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপর আসামি রবিউল ইসলামকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক তাকে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।