আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুর পর ফেইসবুকে ইন্না-লিল্লাহ বলার কারণে বনফুল থেকে চাকরিচ্যুত।
চট্টগ্রামের মানুষ কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে বেড়াতে যাই শতকরা ৭০% মানুষ বনফুল প্রতিষ্ঠানের পণ্য সংগ্রহ করে থাকে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার মানুষ বনফুল প্রতিষ্ঠানের পণ্যের উপর নির্ভরশীল।
বনফুল উৎপাদন কারখানা পটিয়ায় সুদীর্ঘ ৭বছর যাবৎ একজন কর্মরত সুপারভাইজার শাহাদাত হোসাইন মুরাদ কে (১৪ আগষ্ট) শহীদ মরহুম আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর ফেইসবুকে ইন্না-লিল্লাহ বলার কারণে (২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার) চাকরিচ্যুত করে দিলেন বনফুল কতৃপক্ষ।
এছাড়াও বনফুল চেয়ারম্যান এর একান্ত সহকারী জনাব তৈয়ব সাহেব গতকাল বলতেছে সাঈদী প্রেমিদের স্থান নাকি বনফুলে হবেনা, এমনকি সেই ভুলটার কারণে কতৃপক্ষের পায়ে হাত রেখে ক্ষমা চেয়েছে তাতেও বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখাইনি। স্পষ্ট বলে দিলেন চাকরি হবেনা আমার প্রতিষ্ঠানে।
এই ঘটনায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লোহাগাড়া সহ মহানগরীর সাঈদী ভক্তরা গতকাল থেকে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। ভক্তরা বলেন সাঈদি প্রেমিদের স্থান যদি ফনফুল প্রতিষ্ঠানে না হয়, তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্যে লিখে দিন, আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য সাঈদী প্রেমিরা যেনো সংগ্রহ না করে, ওদের জন্য নিষিদ্ধ করে দেন।
এদিকে কিষোয়ান নামে আরো একটা কোম্পানি থেকেও চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে।
যেদিন আল্লামা সাইদী ইন্তেকাল হয়েছিলেন সেদিন তারা পোস্ট করেছিলেন। এটা ওদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরে ১০ দিন পরে আসতে বলা হয়েছিলো, আবার এক সপ্তাহ ছুটি দিয়েছিল এরপর চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে।
চাকরিচ্যুত এর বিষয়টি এতদিন গোপন ছিল। এখন ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর সারাদেশের মানুষ ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। তারা বনফুল ও কিষোয়ান বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন।