উল্লেখ’ শুক্রবার রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে চরফ্যাসন সদরের কালীবাড়ি রোডে মামুনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাশন সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আহত সাংবাদিক মামুন জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ মঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘূর্ণীঝড় আম্পানে বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও ওই বিদ্যালয়ে বরাদ্ধ নেয়া হয়। বরাদ্ধকৃত ওই টাকা ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে উত্তোলন করে প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন সেন্টু আত্মসাত করেন। এবং বাবুর হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের জের ধরেই তার উপর এ হামলার ঘটনা ঘটায়। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে হামলাকারী ৩ শিক্ষককে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান,সাংবাদিক মামুন বাদী হয়ে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিওজেএ’র চরফ্যাসন শাখার সভাপতি নোমান সিকদার বলেন, দেশ ও জনগনের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে সাংবাদিক সমাজ। তাই এদের মৌলিক অধিকার,সম্মানের বিষয়ের প্রতি আমাদের সচেতন হতে হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অসাধুদের অনিয়মের বিরুদ্ধে সাংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।সাংবাদিকের ওপর হামলা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তিনি অবিলম্বে সাংবাদিক মামুন’র ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
সাধারণ সম্পাদক মিজান নয়ন বলেন, সাংবাদিকরা কোন পক্ষের লোক নন, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কলম সব সময় সোচ্চার থাকে। মানুষের না বলা কথাগুলো সাংবাদিকরাই প্রকাশ করে আসছে যুগ যুগ ধরে। তবুও গণমাধ্যম কর্মিরা নির্যাতিত-নিপীড়িত যা খুবই দু:খজনক। তিনিও হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করেছেন।