পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেন উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। ডিউটিতে থাকা অবস্থায় এবং রাত জেগে মোবাইল ফোন ব্রাউজিং থেকে বিরত থাকতে হবে। মাদক ও অনলাইন জুয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পুলিশ লাইন্স-এ অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড রোলকলে তিনি এসব কথা বলেন।
উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা টিম ডিএমপি রাজধানীর নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুদায়িত্ব পালন করি। ১৯৭১ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পুলিশ আজ পর্যন্ত কোনো কাজে পিছপা হয়নি। একাত্তরে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। কিন্তু কাপুরুষের মতো পালিয়ে যাননি।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালেও পুলিশ সদস্য এএসআই সিদ্দিকুর রহমান পালিয়ে না গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রক্ষায় নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা সেই পুলিশের উত্তরসূরি, এটা নিয়ে আমরা গর্ব করি। তাদের উত্তরসূরি হিসেবে বলতে পারি, আজ পর্যন্ত আমরা কোনো ডিউটিতে ব্যর্থ হইনি এবং ভবিষ্যতেও হবো না।
খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, ২০১২-১৩ সালের অগ্নিসন্ত্রাস ও ২০১৫-১৬ সালের জঙ্গিবাদ নিজেদের জীবন দিয়ে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ। তারপর থেকেই বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। যার ফলে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। আমরা হবো উন্নত দেশের পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না। যে কোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করলে ডিএমপি পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে। তবে কেউ যদি জ্বালাও-পোড়াও ও ভাঙচুর করতে চায় আমরা তা রুখে দিবো। রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে এটিই আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সামনে আমাদের অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ আসবে। সেই চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।
এ গ্র্যান্ড রোলকলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।