সাইফুল ইসলাম, ইয়াস- পরিদর্শক, সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলাতে কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় কপোতাক্ষ নদের প্রবল স্রোতে উল্টে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজ তিন শ্রমিকের সন্ধানে আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফন্স এর উদ্যোগে এ অভিযান শুরুর সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। এরপর সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক প্রতাপনগরের কল্যানপুর এসে ক্ষতিগ্রস্ত তিন পরিবারের মাথা পিছু ১০ হাজার টাকা, ৫০ কেজি’র এক বস্তা চাউল ও একটি করে কম্বল তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাট থেকে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙা নামকস্থানে বালি ভর্তির জন্য খালি বস্তা ও শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার সময় চালক আব্দুস সাত্তার ও ১৪ জন শ্রমিকসহ একটি ট্রলার প্রবল স্রোতে ঘোলে পড়ে উল্টে যায়। ট্রলার চালকসহ উদ্ধার হওয়া ১২ জন শ্রমিকের মধ্যে মাফুয়ার রহমানকে জায়গীরমহল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এতে নিখোঁজ হওয়া শ্রমিক বাবুরালি সরদার, আব্দুল আজিজ ও শফিকুল ইসলামকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও ফায়ার সিভিল ডিফন্স এবং ডুবুরীরা।
সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারি পরিচালক তারেক হাসান ভুঁইয়া জানান, খুলনা থেকে ডুবুরী আনার পর দুপুর একটা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। নদীতে প্রবল স্রোত থাকা ও আলো স্বল্পতার কারণে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে আবারো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি নদীতে পাতা জালে আটকা পড়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।