প্রতিমন্ত্রী বলেন, ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দর আরও গতিশীল হবে, স্বচ্ছতা আসবে, হয়রানি কমে যাবে এবং সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
নৌ মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ২৪টি স্থল বন্দরের মধ্যে ১২টি স্থলবন্দরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়কারী বন্দর বুড়িমারী স্থলবন্দর।স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনয়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেবা সহজীকরণ ও ই-সার্ভিসের আওতায় ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যার লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে স্থলবন্দরের বিদ্যমান সকল সেবা অনলাইনে সম্পন্ন হবে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানি-রপ্তানিকারকরা উপকৃত হবেন ও সেবা গ্রহীতাদের সময় এবং খরচ কমবে এবং স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। পণ্যবাহী ভারতীয় গাড়ি বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশের সাথে সাথে পণ্যের তথ্য এবং পণ্যের ওজনের তথ্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এসএমএস এবং ইমেইলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আমদানিকারকের নিকট পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় বিলিং, পণ্যের পোস্টিং, বন্দরের গেট পাশ, অনলাইন ডেলিভারি, অনলাইন মনিটরিং ও রিপোর্ট ড্যাশবোর্ড, অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা, আমদানিকারক সিএন্ডএফ এজেন্ট ভারতীয় গাড়িচালক,পণ্যের তথ্য সংরক্ষণ সুবিধা থাকবে। ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’টি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক টেস্টিং এবং ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে হোস্টিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে তথ্যের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত থাকবে। উক্ত সেবা থেকে বুড়িমারী স্থল বন্দরের ১৬টি জনবান্ধব সেবা প্রদান করা হচ্ছে এবং এই সিস্টেমটি থেকে বছরে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ হাজার জনগণ সেবা পাবে।