বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জাতীয় পতাকার অবমাননাঃ ইসকনের ২ যুবক গ্রেফতার। এইচএসসি পাসে লাজ ফার্মায় নিয়োগ, নিচ্ছে ক্যাশ অফিসার। টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর আগুনে পুড়ে ভূষ্মিভুত। রামপাল মোংলার সুবিধাবঞ্চিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তার। একদিনে ১৩১২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে, ৬ জনের মৃত্যু। যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে,ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পিং, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে বণিক সমিতির ভোট গ্রহণ।

আমনের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

রফিকুল ইসলাম//চাহিদা মুল্যে ধান বিক্রি করতে পারায় আনন্দিত রাঙ্গাবালীর কৃষক। ফলনে বাম্পার, দাম ও বেশি। দুইয়ে মিলে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে কৃষক সমাজে। ভালো লাভবান হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তারা। কৃষি কাজে আরও বেশি উৎসাহী হয়ে উঠেছেন পটুয়াখালী জেলার নদি বেষ্টিত উপজেলা রাঙ্গাবালীর কৃষক।

উপজেলার রাঙ্গাবালী সদর, বড়বাইশদিয়া, ছোটবাইশদিয়া, চরমোন্তাজ, ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষাণরা ক্ষেতে ধান কাটছে, খলায় বসেই বিক্রি করছে বেপারীদের কাছে। এই ভরা মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক পরিবারের সদস্যরা। ধান কাটা এখনো শেষ হয়নি। এর মধ্যেই যে যা পারে স্থানীয় বেপারীদের কাছে বিক্রি করছে। ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে ধান।

কৃষকরা জানান, প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর আমন ফসল অনেক ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ও পরিবেশ ছিল অনুকুলে। তবে প্রথম দিকে শিষ পোকার আক্রমণে কিছু ক্ষতি হয়েছে। তা না হলে আরও বেশি ফসল পাওয়া যেতো। গত বছর আম্ফানের প্রভাবে অর্ধেকেরও বেশি ফসল চিটা হয়ে গিয়েছিল। বাকি যা ছিল, তার ন্যায্যমুল্য না পাওয়ায় লোকশান গুনতে হয়েছিল তাদের। ফলে কৃষি কাজের উপর আস্থা হারিয়েছিল অনেক কৃষক। চলতি বছর বেশি ফলন ও চাহিদা মুল্য পাওয়ায়, আবার তাদের মধ্যে আস্থা ফিরে পেয়েছে। কৃষি কাজে দ্বিগুণ উৎসাহী হয়ে উঠেছে তারা।
রাঙ্গাবালী ইউনিয়নে নিজহাওলা গ্রামের কৃষক মোঃ ইউছুফ মিয়া বলেন, এ বছর আমি ৭ একর জমিতে আমন দিছি। ফসল খুব ভালো হইছে। এখনো কাটা শেষ হয় নাই। ৪ একর জমির ধান বিক্রি করছি। তাতে ১৪০ মনের মতো হইছে (৪৮ কেজিতে মন) ৯৫০ টাকা মন দরে বিক্রি কইরা দিছি। তবে সারা দেশে ৪০ কেজিতে মন, আর আমাদের এলাকায় ৪৮ কেজি। বাপ দাদার আমলের ওই নিয়ম এখনো চালু রয়ে গেছে।

বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা গ্রামের কৃষক আঃ রব মিয়া, কাটাখালীর মহিউদ্দিন, আঃ রহিম জানান, এ বছর ভালো ফসল হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ হয়নি, তা ছারা সময় মতো পানি উঠানামা করায় ঠিকমতো চাষাবাদ করতে পেরেছে, যে কারনে ফসল ভালো হয়েছে। গতবছর লোকশান দিয়ে হালুটির উপর আস্থা হারিয়েছিল তারা। এ বছর বেশি ফলন ও ন্যায্যমুল্য পেয়ে হালুটিতে উৎসাহী হয়ে উঠেছে রাঙ্গাবালীর কৃষক।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102