ভূমিকম্পের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সবচেয়ে পুরোনো হল ‘শেরে বাংলা ফজলুল হক হলের’ একটি অংশ হেলে পড়ার অভিযোগ করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা নতুন হলে স্থানান্তরের দাবিতে উপাচার্য বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের অন্য হলে হস্তান্তরের কথা জানিয়েছে রাবি প্রশাসন।শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় হলের প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা একটি মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে বিকেল ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ (রাকসু) প্রতিনিধি, হলের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি বৈঠকের পর শিক্ষার্থীদের অন্য হলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলটি অনেক পুরোনো এবং সম্প্রতি বেহাল অবস্থায় ছিল। বিভিন্ন জায়গার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছিল। আজকের ভূমিকম্পে হলের পশ্চিম ব্লকের একটি অংশ হেলে পড়েছে।শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন জেমস বলেন, ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হলটি কাঠামোগতভাবেই দুর্বল। এখানে কোনও আরসিসি কলাম নেই, ইটের পিলারের ওপর ছাদ। ভূমিকম্পের সময় মনে হচ্ছিলো ছাদ ভেঙে পড়বে। আমরা ভবন ধ্বসের আতঙ্কে আছি।
নাঈম নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, অনেকদিন ধরে আমরা এই হলটি সংস্কার বা অন্য হলে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছিলাম। অবশেষে আজ সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শেরে বাংলা ফজলুল হক হল প্রাধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, হলটি নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের নতুন হলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও নতুন হলের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি, তবে শিক্ষার্থীরা আজই যেতে পারবে এবং তাদের পূর্ব কক্ষের সিরিয়াল অনুযায়ী সিট দেওয়া হবে।রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, গত কয়েক মাস ধরে শিক্ষার্থীরা স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছিল। আজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর নতুন হলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব জানান, নতুন হল এখনও সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয়। কিছু রুম নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আমরা ঝুঁকি কমিয়ে অস্থায়ীভাবে শিক্ষার্থীদের নতুন হলে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছি।