সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অনুজা বলেন, মানব পাচারকারী এবং মাদক সেবনকারী সমাজের ঘৃণিত ব্যক্তি। মানব পাচারকারী এবং মাদক সেবনকারীদের কোন মতেই ছাড় দেয়া হবে না। এলাকার কোথায় কোথায় মাদক বিক্রি হয় সে সম্পর্কে তিনি তথ্য দিতে বলেন। যদি এলাকার কেউ মাদক সেবন করে তাদেরকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য তিনি আহবান করেন। মাদক সেবনকারীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য তিনি নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে বলেন, কোন ব্যক্তি যদি মাদক সেবনকারীদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করে তবে অবশ্যই তাদের তথ্য গোপন রাখা হবে । তিনি আরো বলেন, যুবসমাজ মাদকের কোলে ঢলে পড়ে মাতা পিতার স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করছে আর নষ্ট করছে নিজের ভবিষ্যৎ। তাই মাদকের প্রতি নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথি অমিত কুমার বলেন, মাদকের কারণে জাতি হারাচ্ছে একগুচ্ছ মেধাবী তরুণদের। আর মানব পাচার শুধু অপরাধই নয় একটি ঘৃণিত কাজ। মানব পাচারের কারণে দেশের শত শত মা তার সন্তানকে হারাচ্ছেন। তাই মানব পাচারকারী এবং মাদকবিরোধীদের দেশের কু- সন্তান হিসেবে অভিহিত করেন। এদেরকে ধরিয়ে দেয়া একটি সামাজিক কাজ বলে তিনি মনে করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় জনাব কবির হোসেন বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে যদি কেউ মানব পাচার এবং মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে প্রমাণ পেলে তাদেরকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হবে এবং যাতে কঠিন শাস্তি পায় তার জন্য সুপারিশ করা হবে। তিনি এলাকার সকলকে মানব পাচার এবং মাদক সেবনকারীদের তথ্য দেয়ার জন্য আহ্বান জানান।