মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সাংবাদিকতার পাঠ্যক্রম ও চর্চায় জেন্ডার সংবেদনশীলতা যুক্ত হলে নারীরা আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে আসবেন। সমাজে কেউ কারও জন্য জায়গা ছেড়ে দেয় না, বরং যার যার অবস্থান নিজেকেই গড়ে নিতে হয়। ইতোমধ্যেই সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরা সাহসী ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন, যা আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক।
আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দি অফিস অব ইন্টারন্যাশন্যাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান।
“সমতার জন্য গণমাধ্যম: পাঠ্যক্রম ও চর্চায় জেন্ডার সংবেদনশীল সাংবাদিকতা” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রধান সারা মনামী হোসেন। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) নীলিমা ইয়াসমিন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ও সমতায় তারুণ্য প্রকল্প বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রফেসর ড. মোঃ সালাউদ্দিন এবং অরোরা নেক্সাসের আয়মান আহাদ আলোচনার শিক্ষণীয় দিক ও ভবিষ্যৎ করণীয় তুলে ধরেন। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও টুয়ার্ডস সাসটেইনেবিলিটির প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজেদের পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
মুক্ত আলোচনায় সমতায় তারুণ্য প্রকল্পের কনসোর্টিয়াম ম্যানেজার মোঃ হুসাইন শাকিরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী ও যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। শেষে সহযোগী সংগঠনের যুবদের হাতে সনদ তুলে দেন উপাচার্য। প্রসঙ্গত, নেদারল্যান্ডস সরকারের অর্থায়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট যৌথভাবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনদের সাথে চার বছর মেয়াদী সমতায় তারুণ্য প্রকল্পটি দেশের আটটি বিভাগে বাস্তবায়ন করছে।