কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ভোমরা বন্দরে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ, কম খরচে পণ্য পরিবহন ও দ্রুত পণ্য ছাড় ব্যবস্থার কারণে বড় আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা এ বন্দর ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়া পথে-প্রান্তরে চাঁদাবাজির প্রবণতা না থাকায় ব্যবসায়ীরা আরও উৎসাহিত হচ্ছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ওই অর্থবছরে এ বন্দরের জন্য রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৯৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত আদায় হয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৯ টাকা।
ভোমরা কাস্টমস সি এন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন হলে এই ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে। এর ফলে রাজস্ব আদায় উল্লেখ যোগ্য হারে বাড়বে বলে আশা করছি।
সম্প্রতি আমদানির পাশাপাশি রপ্তানীও কিছুটা বেড়েছে। ধারাবাহিকভাবে এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভোমরা বন্দরে অর্থনৈতিক ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে বলে জানান।এদিকে নতুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৮৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আশা করছে, বর্তমান স্বচ্ছ ও অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকলে এই লক্ষ্যও পূরণ সম্ভব হবে।