আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ“ভ্যাকসিন হিরো সম্মান, স্বাস্থ্য সহকারীর অবদান” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বরগুনার আমতলী উপজেলার হেলথ এ্যাসিসট্যান্ট ও হেলথ ইন্সপেক্টর এ্যাসোসিয়েশন টেকনিক্যালদের পদমর্যাদা ও নিয়োগবিধি সংশোধনের দাবীতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন অব্যাহত আছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে থেকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচী পালন শুরু হয়ে আজও (রবিবার ) পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এতে আমতলী ও তালতলী উপজেলার ৭০ হাজার ৫’শ ৪১ জন শিশুর হাম রুবেলা টিকার ডোজ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, আমতলী উপজেলায় ৬৩ জন হেলথ এ্যাসিসট্যান্ট ও হেলথ ইন্সপেক্টর থাকলেও তাদের আজ পর্যন্ত টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেয়া হয়নি। ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগবিধি সংশোধনের আস্বাস দিলেও গত ২২ বছরে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগবিধি সংশোধন করা হয়নি।
টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগবিধি সংশোধনের দাবীতে হেলথ এ্যাসিসট্যান্ট ও হেলথ ইন্সেপেক্টরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসলেও আজও তাদের দাবী বাস্তবায়িত হয়নি। পদমর্যাদা ও নিয়োগবিধি সংশোধনের দাবীতে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন সারাদেশে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচীর ডাক দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার আমতলী উপজেলার ৬৩ জন স্বাস্থ্য সহকারীরা হাম রুবেলা টিকাদান প্রশিক্ষণ বর্জন করেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সামনে অনির্দ্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেন যা আজ (শনিবার) পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
তাদের এই ন্যায্যদাবী মেনে নেয়া না হলে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত হাম রুবেলা টিকাদান কর্মসূচী বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। এতে আমতলী- তালতলী উপজেলার ৭০ হাজার ৫’শ ৪১ জন শিশুর হাম রুবেলা টিকাদান কর্মসূচী অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
আমতলী উপজেলা হেলথ এ্যাসিসট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আল-মামুন মুঠোফোনে বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সারাদেশের ন্যায় আমরা আমতলীতেও আন্দোলন শুরু করেছি। আমাদের ন্যায্য দাবী মানা না পর্যন্ত এ আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত হাম রুবেলা টিকাদান কার্যক্রমে দু’উপজেলার কোন স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নিবেন না বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।