রাজধানীর মৌচাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বেজমেন্টে পার্ক করা গাড়ি থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের একজন চালক জাকির হোসেন ও অন্যজন মিজান। তাদের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ধোবাতলীতে। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
রাজধানীর মৌচাকে ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। রোববার ভোর ৫ টা ৪০। সিসিটিভি-ফুটেজে দেখা মিলছে, বেজমেন্ট-টুতে ঢুকছে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি। ভেতরে দেখা যাচ্ছে দুইজনকে। তবে, পুলিশ বলছে, গাড়িতে জাকির ও মিজানের সঙ্গে মালিক সৌরভও ছিলেন। মূল গেটেই নেমে চলে যান মালিক।
কয়েক ঘণ্টা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটি নজরে আসে নিরাপত্তাকর্মীদের। সোমবার, বেলা ১১টার দিকে কাছে যেতেই ভেতর থেকে ভেসে আসে তীব্র দুর্গন্ধ। গাড়িটি তখনও তালাবদ্ধ।
নিরাপত্তাকর্মী মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেখলাম দুই জন শুয়ে আছে। ডাকার পরে তারা কথা বলেনি। এরপর আমাদের সন্দেহ লাগলে কতৃপক্ষকে জানায় আমরা।’
অপর এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘রেজিস্ট্রার্ড খাতায় দেখলাম গাড়িটি ভোর পাঁচটা ৪৫ মিনিটের দিকে আমাদের এখানে আসে। তারা কোনো কথা বলছে না। পরে গিয়ে তাদের মুখে ফোসকা উঠেছে।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে র্যাব, পুলিশ ও সিআইডি। লক ভেঙে বের করা হয় দুজনের মরদেহ।
পুলিশের ধারণা, গরমে দ্রুত পচে গেছে মরদেহ, দেখে অনুমান করার উপায় নেই। তদন্ত শেষ হলেই জানা যাবে হত্যার কারণ।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘যে লাশটা হয়তো তিন-চার দিন পরে যে অবস্থাটা হয় সেটা একদিনে হয়েছে। আমরা হিসাব করে দেখলাম তারা ৩০ থেকে ৩২ ঘণ্টা এই গাড়ির ভেতরে ছিল। এই কারণে লাশ একটু অন্যরকম হয়ে গেছে। তবে, পোস্টমর্টামে গেলে চিকিৎসক বলতে পারবেন অন্য কোনো ঝামেলা আছে কিনা?’
রমনা থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য জোড়া মরদেহ পৌঁছে দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।