ব্রিকস জোট আমেরিকার নীতি বিরোধী। এর সঙ্গে কোন দেশ যুক্ত হলে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ব্রিকসের সম্মেলন চলাকালে এমন চোখ রাঙালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন হুমকি-ধমকিকে পাত্তাই দিলেন না জোটটির শীর্ষ নেতারা।
ব্রাজিলে সম্মেলন চলাকালে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিকস জোটের শীর্ষ নেতারা। এতে ইরানে ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন তারা। পাশাপাশি হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন এসব নেতা। এদিন গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ করতেও পিছপা হননি জোটটির শীর্ষ নেতারা।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙ্গলু দেখিয়ে পাল্টা সমালোচনা করেছেন বিশ্বের ৪০ শতাংশ জিডিপির মালিক এসব দেশের নেতারা। ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর নীতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তারা বলেছেন, এসব নিয়ম বিশ্ব বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে।
বিশ্বের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে ২০০৯ সালে গঠন করা হয় ব্রিকস জোট। পরে পূর্ণ সদস্য হিসেবে এই জোটে যোগ দেয় ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব।
ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেইরোতে চলমান ১৭তম সম্মেলনে এবার সরাসরি যোগ দেয়নি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পুতিন।
ব্রিকস জোটের মূল লক্ষ্য পশ্চিমা আধিপত্যে ছেদ ঘটানো ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে একটি শক্তিশালী মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন। জোটটি বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে।