ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও গভীর হচ্ছে। কারণ চীনা পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরও বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বেশিরভাগ চীনা পণ্যের উপর তাদের শুল্ক হার বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে পণ্য আমদানির উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করে, এর সঙ্গে আগে আরোপিত আরও ২০ শতাংশ শুল্ক যুক্ত হয়েছে।
বেইজিং এর আগে মার্কিন পণ্যের উপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
হোয়াইট হাউসের এক আদেশে দেখা গেছে, বিশ্বের অনেক দেশের জন্য ট্রাম্পের ৯০ দিনের নতুন শুল্ক স্থগিতাদেশ কার্যকর হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলেও এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে চীন।
বরং ট্রাম্প চীনা পণ্য আমদানির উপর নতুন শুল্ক ১২৫ শতাংশে বাড়িয়েছেন। আগে থেকেই মাদক ফেন্টানাইল সরবরাহে চীনের ভূমিকার অভিযোগে বেইজিং এর ওপর বছরের শুরু থেকেই ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প।
এ নিয়ে এ বছর চীনা পণ্যের উপর আরোপিত মোট শুল্কের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যা আগের প্রশাসনগুলোর আরোপিত শুল্কের সঙ্গেও যোগ হয়েছে।
তবে চীনা পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ নতুন এই শুল্কের আওতায় সব ধরনের পণ্য পড়ছে না। এর বাইরে রাখা হয়েছে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতব পণ্য এবং গাড়ি, যেগুলোর ওপর আলাদা ২৫ শতাংশ শুল্ক আগে থেকেই আরোপিত ছিল।
এছাড়া কপার, ওষুধ, সেমিকন্ডাক্টর, কাঠ এবং জ্বালানিপণ্যের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতও এই শুল্কহার থেকে আপাতত বাইরে রাখা হয়েছে। হোয়াইট হাউজ সূত্রে জানা গেছে, এসব পণ্যের ওপর ভবিষ্যতে আলাদা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে।