বাগেরহাটের সদর উৎকুল গ্রামের মধুদিয়া ইচ্ছাময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০৬ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে কৈশোরের পরিচিত মুখগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়ে স্কুল জীবনের গণ্ডি পার হওয়ার ১৯ বছর পর হারিয়ে যাওয়া বন্ধুত্বের কাছে পেয়ে সবাই আনন্দিত।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) স্কুল প্রাঙ্গণে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। পুনর্মিলনীর উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে যোগ দিতে এদিন সকাল ১০টা থেকেই স্কুল প্রাঙ্গণে আসা শুরু হয় সাবেক শিক্ষার্থীদের।
আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক ও বর্তমান কর্মচারীবৃন্দ শেখ নুরুল ইসলাম,শেখ মোহাম্মদ আলী,শেখ আফজাল হোসেন, শেখ সুমন,ইমন,শেখ রফিক,তমা,মুসলিমা এছাড়া উপস্থিত ছিলো ২০০৬ সালের সকল ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ তাদের মধ্যে অন্যতম,বিশেষ আয়োজক মাহিম আহমেদ রুবেল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সরদার মাহবুবুর রহমান, সর্বিক সহযোগিতা ছিলেন মামুন,মিজান,আসাদ,লিপন,ইমাম,মেহেদী, মুখিদ,সাইদ, জাহিদ, ওমর ফারক,আরিফ বিল্লাহ,মিঠুন,আশিস,রাজিব,প্রিন্স,ইমদাদুল, আরাফাত,সাইদ মীর,রুনা লায়লা,তানিয়া,কনা,রুপা,সুমা,শিপু,রেবিনা,
দীর্ঘ ১৯ বছর পর দিনব্যাপী নানা আয়োজন ও কৈশোরের স্মৃতিচারণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাগেরহাট সদরের ঐতিহ্যবাহী মধুদিয়া ইচ্ছাময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০৬ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব।
আলোকশিখা ছড়িয়ে যাওয়া এই বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় ছিলো আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, আপ্যায়ন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ব্যস্ত কর্মজীবনের ক্লান্তি ভুলে কৈশোরের বন্ধুদের সঙ্গে নতুন করে কাটানো সময় ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে সবাই ছিলেন ব্যস্ত। এক একটা পরিচ্ছেদকে আরেকবার ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় ও স্মৃতিচারণে কাটে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব।
দুপুর ২টায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকদের উপস্থিতিতে যে বন্ধুরা আজ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে এই পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় স্কুলের স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক বাচস্পতি ঘোষ ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম মাসুদ, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেখ আব্দুস সামাদ, মাওলানা এ.কে জিহাদুল হক, প্রবীর ঘোষ, দেবনাথ কৃষ্ণ প্রসাদ, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, শেখ মনিরুল ইসলাম,রেজাউল হক,শেখ ইউনুস আলী’সহ অনান্য শিক্ষকরা।
পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণসহ শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন
দিনের শেষভাগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় আয়োজকদের। একই সঙ্গে যারা এবার নানা কারণে উপস্থিত থাকতে পারেনি তাদের সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী পুনর্মিলনী উৎসব আয়োজন করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়