মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৮ অপরাহ্ন

ভয়াবহ মহামারি নিয়ে বিশ্ববাসী-কে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫

ভয়াবহ মহামারি নিয়ে বিশ্ববাসী-কে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। সতর্কবার্তায় তারা বলেন, ফের মহামারি সৃষ্টি করতে পারে এমন ভাইরাসের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বার্ড ফ্লু।

স্তন্যপায়ী প্রাণীর কোষে যদি এই ভাইরাস সংক্রমিত হয় তাহলে তা বিশ্ববাসীর স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন তারা। এ খবর দিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।

এতে বলা হয়, বিশ্বের কোথাও প্রথম একটি ভেড়ার মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে উত্তর লন্ডনের ইয়র্কশায়ারে।

এই খবর বিশ্ববাসীর জন্য মহাবিপদ ঘণ্টা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া মার্কিন দুগ্ধজাত গবাদিপশুতেও এইচ৫এন১ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

গত ডিসেম্বরে সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে ঘোড়াতে এই ভাইরাসের সংক্রমণের ইতিহাস থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই ভাইরাসটি মূলত স্পিল-ওভার সংক্রমণ, যার সঙ্গে পাখির জাম্পিং প্রজাতিগুলোর মিল রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি বিশেষ এই ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী কোষের সঙ্গে খাপ খেয়ে যায় তাহলে বিশ্ববাসীর জন্য তা হবে বেশ উদ্বেগের বিষয়। এছাড়া যেসব মানুষের গৃহপালিত প্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তারা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ব্রিটেনর বিশাল এলাকাজুড়ে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সেখানে এইচ৫এন১ ভাইরাসের আরেকটি ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটিতে লাখ লাখ হাঁস-মুরগি মেরে ফেলতে হয়েছে।

এই ভাইরাসে বন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীও আক্রান্ত হতে পারে। সম্প্রতি উত্তর নরফোকের মৃত সিলের (এই প্রাণীর অপর নাম সিন্ধুঘোটক) কোষের মধ্যে এই ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শেয়াল, ভোঁদড়, ডলফিন এবং পোর্পোইসের শরীরেও এই ভাইরাস শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা।

দ্য অ্যানিমেল প্ল্যান্ট হেলথ এজেন্সি এ বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছে। মার্কিন দুগ্ধজাত গবাদি পশুতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে বৃটেনের খামারগুলোতে সংক্রমিত হাঁস-মুরগির সঙ্গে গবাদি পশুরও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

এভাবে পরীক্ষা করতে যেয়ে ইয়র্কশায়ারের ওই ভেড়ার রক্তে এইচ৫ অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা হয়েছে। ভেড়ার দুধেও ওই ভাইরাসটির জিন পাওয়া গেছে। তবে ভাগ্য ভালো যে খামারের অন্যান্য ভেড়ার শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়নি। যদিও পরে প্রাণীটিকে মেরে ফেলা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্রুত পদক্ষেপ নিলে এই ভাইরাস রোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে গবাদিপশুর মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মার্কিন কর্তৃপক্ষ খুব ধীরে পদক্ষেপ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি সুপার শপের দুধে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। ইয়র্কশায়ারে সংক্রমিত হওয়ার পর নতুন করে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পাখির শরীরে জিনগত কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102