উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন ইটভাটা বন্ধ করার পরও চলছিল অবৈধ ভাবে ইট তৈরির কাজ। উপজেলা প্রশাসন ৩ দফায় জরিমানা করলেও ইট তৈরীর কাজ বন্ধ করেনি ভাটা মালিকেরা।
তার প্রেক্ষিতে গুইমারার আমতলীপাড়া এলাকার ২টি ভাটাতেই পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চুল্লিতে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এসময় কাঁচা ইট পানিতে ভিজিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া দুটি ইটভাটার চিম্নি নিলামে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়
বৃহস্পতিবার(১৬ জানুয়ারী ২০২৫) দুপুরে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আকতার ও পরিবেশ অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি জেলার যৌথ অভিযানে ২ টি ইটভাটা গুড়িয়ে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি কর্মকর্তা হাসান আহমেদ, অফিস সহকারি ওবাইদুল ইসলাম সিফাত জালিয়াপাড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মহসিন তালুকদার, ফায়ারসার্ভিস এর কর্মকর্তাবৃন্দ ও গুইমারা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই বনের মাঝে, লোকালয় পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়কারী এসব ভাটা। ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছিল পাহাড় ও কৃষি জমির উর্বর মাটি ও জ্বালানি কাঠ।
পাহড়ী এলাকায় এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মঞ্জিল মোর্শেদ রিট দায়ের করার ফলে খাগড়াছড়ি জেলার ২৫ টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।