সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। ফেরারির মতো ছুটছি, সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেইঃ ছাত্রলীগ নেতা। বিএনপি-জামায়াতের বাড়িঘরে হামলার নির্দেশ দিলেন হাসিনা। গোয়ালন্দে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুই গ্রুপের পৃথক কর্মসূচি পালন। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার। সনাতন ধর্মাবলম্বী দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিমা ভাঙচুর। সাবেক ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুককে আটকে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। তারাকান্দা নেতৃবৃন্দের সাথে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ’র সাথে  মতবিনিময় সভা। তারাকান্দা সদর ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত। শাবিপ্রবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩ নভেম্বর।

কথিত ‘ধর্ষণ’ মামলায় খালাস মামুনুল হক।

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

কথিত ‘ধর্ষণ’ মামলায় খালাস মামুনুল হক।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে বেখসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রোমেল মোল্লা বলেন, মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। যার কারণে আদালত মামুনুল হককে নির্দোষ ঘোষণা করে বেখসুর খালাস প্রদান করেছেন।

গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন আজ। এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামলার ধার্য তারিখ অনুযায়ী মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। আদালত মামুনুল হককে বেখসুর খালাস প্রদান করেছেন।

তিনি আরও বলেন, গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছিল। আমরা সেদিন আদালতকে বলেছিলাম এই পুরো বিষয়টি যোগসাজসে সংঘটিত হয়েছে। যিনি মামলার বাদী তিনি শারীরিক পরীক্ষা করাতে রাজী হননি, কারণ তিনি স্বীকার করেছেন মামুনুল হক তার বৈধ স্বামী। একইসঙ্গে বাদীর ছেলে আব্দুর রহমান সাক্ষ্য দিতে এসে বলে গিয়েছিলেন তার মা মামুনুল হকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করে মামলা করানো হয়েছিল। আদালত আমাদের প্রতি ন্যায়বিচার করেছেন।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে।

এরপর ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এদিকে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে জামিন আবেদন করলে তৎকালীন বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে তিনি সোনারগাঁ থানার এই ধর্ষণ মামলায় জামিনে ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102