শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাগেরহাটে চুলকাটিতে শহীদ জিয়া স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিতঃ সারজিস আলম। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে নরেন্দ্র মোদির শোক। রামপাল ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত। না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল। ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত। ৩১শে জানুয়ারির পর অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দাবি মির্জা ফখরুলের। দেশে ফিরেই নতুন বার্তা দিলেন মিজানুর রহমান আজহারী। ভারতের অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা উচিতঃ মির্জা ফখরুল।

রংপুরে শ্যামাসুন্দরী এবং কে.ডি খাল খনন ও সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

শরিফা বেগম শিউলী রংপুর প্রতিনিধিঃ
ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবল থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে শ্যামা সুন্দরী ও কে.ডি খাল খনন – সংস্কার এবং অপরিকল্পিত নগরায়ন নয়-মহাপরিকল্পনার আলোকে নগর সাজানোর দাবিতে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর’২০ বুধবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে জলাবদ্ধতার ভুক্তভোগী রংপুর নগরবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

রাজনৈতিক সংগঠক ও সাবেক ছাত্রনেতা পলাশ কান্তি নাগ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন, মোজাফফর হোসেন চাঁদ,শিক্ষক বনমালী পাল,সাবেক ছাত্রনেতা রাতুলুজ্জামান রাতুল,শ্রমিক নেতা রেদওয়ান ফেরদৌস,রোস্তম আলী, শিক্ষানবীশ আইনজীবী স্বপন রায়,শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সংগঠক আব্দুস সাত্তার বকুল,নিপীড়ণ বিরোধী নারীমঞ্চের সংগঠক সুলতানা আক্তার প্রমুখ।

সমাবেশটি পরিচালনা করেন সাংস্কৃতিক কর্মী নাসির সুমন।বক্তারা বলেন,এক রাতের টানা বর্ষণে রংপুর নগরী তলিয়ে যাবে এটা কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি। নগরীর প্রায় প্রতিটি রাস্তা-ঘাট,বাসা-বাড়ীতে জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। পানিবন্দী মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছে। অনেকের ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র,জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে,ভেসে গেছে পুকুরের মাছ

আজ এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো না। শ্যামাসুন্দরী ও কে.ডি খাল অবিরাম এই বর্ষণের পানি ধারণ করতে পারতো। কিন্তু শ্যামাসুন্দরী ও কে.ডি খাল ক্রমাগত দখল ও ভরাট হওয়ার কারণে তা হয়নি। পাশাপাশি অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দূর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থাও অনেকাংশে দায়ী। আজকে শ্যামাসুন্দরী খালকে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিনে পরিণত করা হয়েছে।

৪৮২ জন দখলদারের কারণে শ্যামাসুন্দরী খালের জায়গা সংকুচিত হয়ে আসছে। ১৮৯০ সালে ডিমলার রাজা জানকিবল্লভ সেন রংপুর নগরীবাসীকে ম্যালারিয়া রোগে হাত থেকে রক্ষা করতে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই খালটি খনন করে। এক সময় খাল ২৩ থেকে ৯০ ফিট পর্যন্ত প্রসস্ত ছিল। বর্তমানে খালটি ১৫ -২০ ফিটে পরিণত হয়েছে।

বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত হলে শ্যামাসুন্দরী কেন হবে না?
বিগতদিনে শ্যামাসুন্দরীতে ঘিরে কাঙ্খিত কোন কাজ হয়নি। বাজেট-বরাদ্দের সিংহভাব লুট হয়ে। শ্যামাসুন্দরী সংস্কার এখন সময়ের দাবি।
সেই সাথে পরিকল্পিত ও টেকশই নগরায়ন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

বক্তারা, অবিলম্বে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবল থেকে নগরীবাসীকে রক্ষা করতে শ্যামা সুন্দরী এবং কে.ডি খাল খনন ও সংস্কার, মহাপরিকল্পনার আলোকে নগরকে গড়ে তোলার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102