বাগেরহাটের রামপালে খেজুরমহল টি.আর আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক মোঃ ইয়াহিয়া’র পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই ছাত্র সমাজ ও সাধারণ জনগণের আয়োজনে মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযোগ করে বলেন, প্রভাষক ইয়াহিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাগার মোড়ে সাধারণ ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। সেখান থেকে ফিরে জনৈক কাজী রোকনকে দিয়ে যেসব ছাত্ররা আন্দোলনে গিয়েছিল তাদের নামের তালিকা তৈরি করে। বিগত দিনে রাসুল (সাঃ) এর কটূক্তিকারী নাস্তিক মহেশ্বরের পক্ষ নিয়ে গোটা মুসলমান জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আমতলা মাঠে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল বন্ধ করে দেয়। তার মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ আমির হামজা ছাত্র শিবির করার কারণে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়া আরেক ছাত্র ফকির আয়াজকে ছাত্র লীগের নেতাদের সামনে এনে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়া তিনি পবনতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকা গাবতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের নামে ভূয়া রেজুলেশন ও বিল ভাউচার করে টাকা আত্মসাত করে। গাবতলা মসজিদে ১৫ বছরের অধিক পুরানো কমিটি ঠিক রেখে ক্ষমতায় অপব্যবহার করে। এছাড়াও তিনি প্রভাব খাটিয়ে কয়েকজন মুসল্লীকে মসজিদে আশা থেকে বিরত রাখে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা তরফদার জিল্লুর রহমান, সরদার বাকী বিল্লাহ, সরদার মারুফ, খান লুৎফর রহমান, ছাত্রদল নেতা শেখ হাফিজ, মোঃ মেহেদী হাসান, খান তানভীর, মোঃ সোহেল, মোঃ জুয়েল,সরদার মুক্তি খাতুন , নুসরাত জাহান প্রমুখ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ ইয়াহিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। কিছু লোক ব্যক্তিগত আক্রোশে আমার বিরুদ্ধ অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আইন অনুযায়ী আমি যদি কোন অপরাধ করে থাকি তাহলে আইন আমাকে যে শান্তি দেয় তা মেনে নিবো। এছাড়া আমি এ সকল মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাই।