বাগেরহাটের ফকিরহাটে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আটক।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে দুই তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মেহেদী হাসান (২০) কে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৬ এর একটি দল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব জানান, গত ১৩ই জানুয়ারি বিকালে ভিকটিম দুই তরুণী তাদের চাচাতো ভাই ও তার বন্ধুর সাথে দুটি মোটরসাইকেলে করে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় ঘুরতে যান। সেখান থেকে খাঁন জাহান আলী মাজার হয়ে ফেরার পথে অনুমানিক রাত ১১ টার দিকে ফকিরহাটের জাড়িয়া চৌমাথা এলাকায় গতিরোধক অতিক্রম করার সময় ছাত্রলীগ নেতা শাকিল সরদার এক তরুণীর ওড়না টেনে ধরেন। এতে ভিকটিম ও তার বন্ধু মোটরসাইকেল থেকে রাস্তার উপর পড়ে যান। বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্য মোটরসাইকেলে থাকা ভিকটিমের চাচাতো ভাই ও অপর তরুণী মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান।
মোটরসাইকেল থেকে নামার পর কোনো কিছু জানতে চাওয়ার আগেই আসামী শাকিল ও মেহেদী তাদের মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আসামী শাকিল এক তরুণীকে প্রথমে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের বেঞ্চের উপর এবং আসামী মেহেদী অপর ভিকটিম তরুণীকে আধাপাকা টিন সেড দোকানের পিছনের বাগানে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে রাত ৩ টায় দ্বিতীয় দফায় আসামী মেহেদী ভিকটিম তরুণীকে চায়ের দোকানের বেঞ্চের উপর এবং তৃতীয় দফায় আসামী শাকিল অপর তরুণীকে জাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এ সময় আসামী শাকিল ও মেহেদী বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা এবং স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে ভিকটিম এক তরুণী বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ফকিরহাট থানায় গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে।
ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, (সদর কোম্পানি) খুলনা ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গত ১৬ই জানুয়ারি রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন ভাটিয়াপাড়া গোলচত্তর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মেহেদী হাসান (২০) কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামী গণধর্ষণ এর সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
এর আগে গত ১৪ই জানুয়ারি এজাহার নামীয় প্রধান আসামী শাকিল সরদার (২৫) কে ফকিরহাট মডেল থান পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ১৫ই জানুয়ারি বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানা গেছে।