শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে আদমদীঘির সান্তাহারে রেললাইনের উপড় বসা পুরাতন শীতবস্ত্রের
দোকানে পুরোদমে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শীতবস্ত্রের পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা জমে
উঠতে শুরু করেছে। পুরাতন শীত বস্ত্রের পাশাপাশি তৈরি জ্যাকেট ব্যবসায় চলছে দারুন রমরমা বেচা
বিক্রি। শীত পড়তে শুরু করেছে উত্তর জনপদের এ অঞ্চলে। অনুভুত হচ্ছে হিমেল হাওয়া ও হালকা
কুয়াশা। সন্ধ্যা শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় কুয়াশা। ধীরে ধীরে ঢেকে ফেলে জনজীবন। পুরাতুন শীত
বস্ত্রের দাম গত বারের তুলনায় এবার কিছুটা বেড়েছে। তারপরও নতুনের চেয়ে তুলনা মূলক দাম কিছুটা
কম বলে শহর,গ্রামের সব শ্রেণীর মানুষ শীতের পোশাক কিনছে। সরেজমিনে শহরের রেলগেট এলাকার
হকার্স মার্কেট ও পাইকারি বাজার ঢাকাপট্টি ঘুরে দেখা গেছে, আমদানিকৃত পুরানো শীত বস্ত্রের
দোকান গুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। তবে ক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় কাপড়ের দাম এবার
চড়া। গতবার বাচ্চাদের যে কাপড় ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা এবার ৮০ থেকে ১০০ টাকায়
বিক্রি হচ্ছে। বড়দের যে কাপড় ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কেনা হয়েছে এবার তা কিনতে হচ্ছে ১৮০ থেকে
২৬০ টাকায়। পুরাতন কাপড় মার্কেটের মহাজন আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মূলত তাইওয়ান, জাপান, ও কোরিয়া থেকে পুরাতন শীত বস্ত্র আসছে। ১০০ কেজি ওজনের ১ বেল ছোটদের পুরানো শীত
পোশাক চট্রগ্রাম মোকামে সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা। ১০০ কেজি ওজনের বড়দের এক বেল
পোশাকের দাম সাড়ে ৭ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা। ৮০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের জ্যাকেট ও
সোয়েটারের এক বেলের দাম পড়ছে ১১ হাজার টাকা। তিনি আরো জানান, বর্তমানে বাজারে ছোট ও
বড়দের শীতের পোশাক প্রতি পিচে ৬০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরাতন কাপড়ের পাইকারি
ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন ও আরফান শেখ জানান, পরিবহন খরচ ও ব্যাংক ঋণের কারণে কাপড়ের
বেলের দাম বেড়ে গেছে। ফলে খুচরা বাজারে বাড়তি দামের প্রভাব পড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পুরাতন কাপড় কেনার সময় কথা হয় সান্দিড়া গ্রামের টুম্পা বেগমের সাথে তিনি বলেন, প্রতি বছরই
আমি সান্তাহার রেলগেট আসি পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য সোয়েটার ও জ্যাকেট কিনতে। কম দামে এত সুন্দর সুন্দর জ্যাকেট অন্য কোথাও পাই না।