মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় জান্নাতুল মারোয়ার (৮) মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। আবার সকাল ১০ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরঝাপটা এলাকার মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজ সাব্বির হোসেনের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদরের রমজানবেগ এলাকা সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ জান্নাতুল মাওয়ার (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জান্নাতুল মাওয়া গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি এলাকার মফিজুলের মেয়ে।
এখনোও ২ শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
জান্নাতুল মারোওয়া মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে। সাব্বিরদের বাড়ি রংপুরের কমাছপাড়া এলাকায়। তিনি গজারিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
গত শনিবার সকালে একই দুর্ঘটনায় ওই এলাকার মফিজুল হকের স্ত্রী ও সাব্বির হোসেনের বোন সুমনা আক্তারের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে সাফা আক্তার (৪) ও সাব্বিরের ছেলে ইমাদ (২)।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, আজ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ( ৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ চরকিশোরগঞ্জ ফেরিঘাটের অদূরে গজারিয়ার মেঘনা নদীতে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ১১ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় আনন্দ ভ্রমণের ট্রলার। ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফেরার পথে মেঘনা নদীর মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। রাতে আধারে অবৈধভাবে চলা বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় ট্রলারটি।