বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন

চুয়াডাঙ্গায় অটো’র নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় মহাযানজট চৌরাস্তা মোড় : ফাঁকা করার দাবী সচেতন মহলের

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

জনি আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা:মনে হচ্ছে দেশের সব যানজট চুয়াডাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়টিকে ঘিরে রেখেছে অটোগাড়ী, পাখিভ্যান ও অটোরিক্সাগুলো। তাদের কোন স্থান না থাকায় মেহেরপুর টু ঢাকাগামী, দর্শনা টু ঢাকাগামী পরিবহণসহ সকল বৈধ অবৈধ যানবাহন চলাচল করে থাকে চুয়াডাঙ্গা মেইন সড়ক চৌরাস্তার মোড় দিয়ে। কিন্তু মেইন রাস্তার অর্ধেকটা জুড়ে অটোগাড়ী, পাখিভ্যান আর অটোরিক্সাগুলো ভাড়া মারার প্রত্যাশায় যদি প্রয়োজনীয় চৌরাস্তার মোড় দখল করে থাকে, তাহলে ছোট বড় পঙ্গুত্বসহ মৃত্যুবরণের পথে পা বাড়াতে সাহায্য করে ফেলেছে ওইসব যানবাহনগুলো।

এছাড়াও সরকারী বেসরকারী সকল প্রকার শ্রমজীবী সময় ক্ষেপণসহ মানুষের চলাচলে নানা ব্যঘাত সৃষ্টি করে থাকে। অথচ এর কোন প্রতিকার নেই।

এদিকে, ওইসব অটোগাড়ী, পাখিভ্যান ও অটোরিক্সাগুলো বাস টার্মিনালের মত কোন জায়গা না থাকায় প্রতিনিয়ত সড়কের আতঙ্কগ্রস্থ জায়গা চৌরাস্তা মোড়টিকে দুইপাশ থেকেই ঘিরে রেখেছে তারা। এতে সকল প্রকার জনসাধারণের আতঙ্কগ্রস্থের মধ্যেদিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হয় সব সময়ই। কখন যে ছোট, বড় পঙ্গুত্বসহ মৃত্যুবরণের ঘটনা ঘটতে পারে যে কোন সময়। তখন দায়ভার কার?

সেজন্য সবকিছু ঘটার আগেই যদি প্রতিটি কাজই নিয়মতান্ত্রিকভাবে পালন করা হয় তাহলে এ সমাজে কোন প্রকার অশোভন কথাবার্তা বা দুর্ঘটনার কথা আর শোনা যেত না।

যানজটের বিষয়ে নাম প্রকাশ নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বৃদ্ধ বলেন, আমরা বহুদিন ধরে এই মেইন সড়ক চৌরাস্তা মোড়ে যানজট দেখেই আসছি কিন্তু সেটা এই ডিজিটাল দেশে এসেও আমাদের যানজট দেখতে হচ্ছে অথচ সবসময়ই দেখি এখানে যানজটের যেন মহোৎসব চলে চৌরাস্তা মোড়ে।

এদিকে, ট্রাফিকও থাকে ওইসব গাড়ীগুলোর ঘা ঘেঁষে। কি আর করার অভ্যাসটা তো বজায় রাখতে হবে। তারপরও ওইসব গাড়ীওয়ালাদের ওখান থেকে সরাতেও বলা হয় না ঠিকমত। আর এজন্যই দিন দিন বাস ট্রাক কম দেখা গেলেও চৌরাস্তার মোড় অটো রাস্তায় পরিণত হয়েছে যা সচেতন সমাজ হিসেবে একেবারেই মানানসই নয়।

এদিকে, যানজট বিষয়ে এক অটোগাড়ীর ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলে নাম প্রকাশ না করাার শর্তে তিনি বলেন, অটোগাড়ী দিয়ে আমার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। এছাড়াও বাস ট্রাকের টার্মিনাল থাকলেও আমাদের একটা নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় আমাদেরকে এলোমেলোভাবেই চলাচল করতে হয়। এতে কে দুর্ঘটনায় কবলিত হলো তাতে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।

তাই সরকারী দায়িত্বের অন্যতম মুখ চুয়াডাঙ্গা মান্যবর জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও মানবিক পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের কাছে বড় বাজার নিচের বাজার অথবা মাথাভাঙ্গা নদীর ধারে যদি অটো স্ট্যান্ড করা যায় তাহলে যেমন যানজটের মহোৎসব সারা জীবনের মত হারাবে, তেমনী দুর্ঘটনার অকাল মৃত্যুর হাত থেকেও মুক্তি পাবে মানুষ। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের ফিরে পাবে অনেক আস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102