কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ইবি কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত।
গত ৩ সপ্তাহ ধরে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। ১৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা এ কর্মবিরতি পালন করেন। রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসেন ‘ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন’ কমিটি। এসময় কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত করেছেন বলে জানিয়েছেন ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এটি এম এমদাদুল আলম।
আলোচনা সভা উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এছাড়া ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফীন উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত ‘ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন’ কমিটি পাঁচ ঘন্টা করে কর্মবিরতি শুরু করে। তবে শোকের মাস আগস্টে আপাতত কোন কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে না বলে জানান কর্মকর্তারা। এদিকে দাবি আদায়ে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ফের লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন কর্মকর্তারা। এসময় তারা অফিস চলাকালীন সকল অফিসিয়াল কাজ থেকে কর্মবিরতি পালন করেন। তবে ছাত্র সংশ্লিষ্ট জরুরী কাজ চিকিৎসা, সনদপত্র উত্তোলন ইত্যাদি কাজ অব্যাহত রাখেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যান। এদিকে আজ (রোববার) কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে লাগাতার কর্মবিরতি স্থগিত করেন তারা।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটি এম এমদাদুল আলম বলেন, আমাদের দাবির ন্যায্যতা অনুধাবন করে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ তাদের সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। তাদের উদ্যোগে উপাচার্য আমাদের ডেকেছিলেন। কর্তৃপক্ষ আমাদের আইনগত যেগুলো দাবি আছে আইনের মধ্যে থেকে তা প্রদান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা বলেছি আইনের বাহিরে আমরা কোনো আবেদন করিনি, আইনের বাহিরে দিলে নিবোও না। ওনি কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে বললেন। প্রত্যাহার তো আমি একা করতে পারিনা। পরে ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা রেখে আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আগামীকাল থেকে সকলে স্ব স্ব অফিসে কাজ করবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, তাদের দাবি যৌক্তিক হলে আমরা অবশ্যই বিবেচনা করবো। তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে আমরা বঞ্চিত করবো না।