বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

শেরপুরে আবারও কৃষকের ফসল নষ্ট করছে বন্য হাতি।

মোঃ শামছুল হক, জেলা প্রতিনিধি শেরপুর।
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

শেরপুরে আবারও কৃষকের ফসল নষ্ট করছে বন্য হাতি।

শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আবারও বন্যহাতির তান্ডব শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতি রাতেই আমন ফসলের জমি নষ্ট করছে বন্যহাতি দল। এতে করে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে এসব পাহাড়ি এলাকার মানুষের জনজীবন। কৃষকেরা তাদের জানমাল ও ফসলি জমি রক্ষায় সর্বদায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। বন্যহাতির কবল থেকে ফসল রক্ষায় দ্রুত সরকারের স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জোরদাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, প্রায় ৪০-৫০টির মতো বন্যহাতির একটি দল খাবারের সন্ধানে প্রতিনিয়তই লোকালয়ে নেমে আসে এবং উঠতি আমন ধানের জমিতে হানা দেয়। এতে করে প্রতি বছরে আমন ও বুরো মৌসুমে নষ্ট হয়ে যায় কয়েকশ একর ফসলি জমির ধান। ফসল রক্ষায় কৃষকরা রাতে মশাল জ্বালিয়ে, ঢাকঢোল বাজিয়ে, টিন পিটিয়ে ও হৈ-হুল্লোর করে ধানক্ষেত পাহারা দিয়ে আসছেন কৃষকেরা।

এলাকাবাসী জানান, দিনের বেলায় বন্যহাতির দলটি গহীন অরণ্যে লুকিয়ে থাকে। আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই খাদ্যের সন্ধানে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠে তান্ডব চালায়। এ সময় ক্ষুধার্ত বন্যহাতিগুলো তাড়াতে গেলে তারাও মানুষের উপর আক্রমণ করে। এতে মাঝে মধ্যেই হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মারা যায় অনেক কৃষক।

খাবারের সন্ধানে উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের দাওধারা কাটাবাড়ি, ডালুকোনা, আন্ধারুপাড়া খলচান্দা, বুরুঙ্গা কালাপানি ও সমশ্চুড়া গ্রামের বাসিন্দাদের এখন নির্ঘুম রাত কাটছে জানান এলাকাবাসী। বন্যহাতির তান্ডব থেকে ফসলি জমি রক্ষা করতে গ্রামের লোকজন পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। গত কয়েকদিনে পাহাড়ি গ্রামের কৃষকদের প্রায় ২০ একর জমির আমন ধানের গাছ খেয়ে ও পা দিয়ে বিনষ্ট করে দিয়েছে বন্যহাতির দল।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, গত মঙ্গলবার থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক বন্যহাতির একটি দল খাবারের সন্ধানে এসে কৃষকের ফসলি জমিও সামাজিক বনায়নের চারাগাছ নষ্ট করেছে।

পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, প্রতিবছর বন্যহাতির দল খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে ফসল নষ্টের পাশাপাশি প্রাণহানি ঘটাচ্ছে। এই হাতিগুলো তাড়ানোর জন্য স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ ও কৃষকরা হাতির ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটান। এর একটি স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বন্যহাতির দলটি দিনে উপজেলার পাহাড়ি এলাকার গভীর জঙ্গলে অবস্থান করছে। আর সন্ধ্যা হলেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসছে। আমরা বন্যহাতি ও ফসল রক্ষায় তৎপর রয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102