কয়রায় অবরুদ্ধ ছয় পরিবারকে উদ্ধার করলেন এসিল্যান্ড।
খুলনার কয়রা উপজেলায় চার মাস ধরে অবরুদ্ধ ছয়টি পরিবার কে ইটের দেয়াল ভেঙে উদ্ধার করেছেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রশাসন।
শুক্রবার (২২/৯/২৩) সকালে উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চৌকুনী গ্রামে ইটের দেয়াল ভেঙে চলাচলের পথ উন্মুক্ত করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম.তারিক-উজ-জামান।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ঘরের সামনে চলাচলের খাস জায়গায় ইটের দেওয়াল ও টয়লেট নির্মাণ করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম গাজী। ইটের দেয়াল দেওয়ায় ছয়টি পরিবার অবরুদ্ধ অবস্থায় কষ্টে দিন যাপন করে আসছিল।অবরুদ্ধ পরিবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার বিকল্প কোনো পথ না থাকায় মাছের ঘেরের সরু রাস্তা দিয়ে এক কিলোমিটার পথ ঘুরে মূল সড়কে আসতে হত।
চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় অবরুদ্ধ ছয় পরিবারের স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। তাঁরা এক কিলোমিটার পথ ঘুরে মাছের ঘেরের সরু আইল দিয়ে স্কুল কলেজে যাওয়ায় ভোগান্তি পড়তে হতো। অনেক সময় ঘেরের সরু পথ দিয়ে যাওয়ার সময় পানিতে পড়ে গিয়ে বইখাতা নষ্ট হতো।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস বিশ্বাস (৬৫) বলেন,আমার জন্মের পর হতে দেখেছি এই পথ দিয়ে ৬টি পরিবার চলাচল করতো হঠাৎ চার মাস আগে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়।কয়েক মাস পূর্বে ইট দিয়ে দেয়াল করে দেয় যার ফলে চার মাস ধরে পরিবারগুলো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।এই নিয়ে বহু সালিশ বিচার হয়েছে কিন্তু তারা এসব রায় মানে না।
মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারী বলেন,দীর্ঘ দিন ধরে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি।অবরুদ্ধ পরিবারের পক্ষে চলাচলের জন্য সালিশে রায় হলেও শফিকুল ইসলাম গাজী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রায় মেনে বাড়ি এসে দেয়াল অপসারণে বাঁধা দিতো।দীর্ঘ চার মাস পরে পরিবার গুলো অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত হওয়ায় এলাকাবাসী অনেক খুশি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম.তারিক-উজ-জামান বলেন,বিষয়টি গতকাল রাতে জানার পরে আজ সকালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।অবরুদ্ধ ছয় পরিবার কে চলাচলের জন্য রাস্তা থেকে ইটের দেয়াল অপসারণ করে দেওয়া হয়েছে।