রনজিৎ কুমার রায়, লালমনিরহাট থেকেঃ লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারের সন্তান পিয়াস (১৪)। পিয়াস কুলাঘাট ইউনিয়নের টিকটিকির হাট নামক এলাকায় রথীনন্দন গ্রামের সোহেল রানা ও মায়ের নাম পারুল বেগম ছেলে।
অনান্য সুস্থ সবল শিশুদের মতই স্বাভাবিক ছিল পিয়াসের জীবন যাপন। বন্ধুদের সাথে লেখাপড়া, খেলাধুলা ও হৈ-হুল্লোড় করেই সময় কাটাতো পিয়াস। সে স্হানীয় সাখওয়া তাজমাহাম্মুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নিষ্পাপ এ কিশোরটি গত ১বৎসর যাবৎ অজানা এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছে। সবসময়ই তার নাক দিয়ে তাজা রক্তক্ষরণ হয়।
বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর অবশেষে গত ১আগষ্ট নাক, কান, গলা ইন্সটিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় দারিদ্র্যর কাছে অসহায় আত্নসমর্পণে বাধ্য হচ্ছে পিয়াসের বাবা মা।
পিয়াসের বাবা জানান, একমাত্র সন্তানকে বাচাঁতে আমার সহায় সম্বল যা ছিলো সব শেষ করেছি, ডাঃ বলেছে পিয়াসের নাসিকায় টিউমার হয়েছে, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে অপারেশন করতে হবে যা প্রায় ২/৩ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।এত টাকা যোগাড় করা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পরেছে।
পিয়াসের মা কাতর কন্ঠে জানান, আমি আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও সন্তানকে বাচাঁতে চাই। তার মুখে আবারো মা ডাক শুনতে চাই। আমার সন্তানকে বাচাঁতে আমাদের টাকা পয়শা যা ছিলো সব শেষ, আমার বুকে ধন কে বাঁচাতে সকলের সহযোগিতা চাই।
আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ, আগামীর কর্নধার।
যে বয়সে পিয়াসের, বই খাতা নিয়ে স্কুলে থাকার কথা, বন্ধুদের সাথে খেলার মাঠে থাকার কথা ঠিক সেই সময়ে তাকে ঘুরতে হচ্ছে দেশের বিভিন্ন চিকিৎসালয়ে। অর্থাভাবে উন্নত সুচিকিৎসার কল্পনাও করতে পারছেনা পরিবারটি।
নিস্পাপ এ ছেলেটিকে বাচাঁতে সুদৃষ্টি কামনা সহ দেশে/বিদেশের বিত্তশালী স্বহৃদয়বান ব্যক্তি, বিভিন্ন মানব কল্যাণ সংস্থার সাহায্য পেতে জোর আকুতি জানিয়েছে পরিবারটি।