চট্টগ্রামের রাংগুনিয়া দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের খোরশেদ তালুক এলাকায় প্রতিবন্ধী কিশোরিকে ধর্ষন।
চট্টগ্রামের রাংগুনিয়া দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের খোরশেদ তালুক এলাকায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরিকে ধষনের অভিযোগে মোহাম্মদ বখতিয়ার নামে এক তরুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার(২২আগস্ট) প্রতিবন্ধী কিশোরের পিতা মোহাম্মদ ইউনুস বাদি হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলাটি করেন।কিন্তু মামলার আটদিন পেরিয়ে গেলে আসামি ধরা ছোয়ার বাইরে হাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।কিশোরির পরিবার জানায় (২০ আগস্ট) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয় নের খোরশেদ তালুক এলাকায় চম্পা ঘোনা এলাকাশ একটি পাহাড়ে ধষনের শিকার হয় ১৬ বছর বয়সি বাক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরি।
প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাড়ি দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের খোরশেদ তালুক এলাকায় ছাবের চৌকিদার বাড়ি।মামলার বিবাদি তরুণের বাড়ি একই ইউনিয়নের খোরশেদ তালুক নতুনপাড়া এলাকায়।সে ওই এলাকার মৃত আবু সৈয়দের পুএ।
প্রতিবন্ধী কিশোরীর পিতা মোহাম্মদ ইউনুস জানান আমার মেয়ে জন্ম থেকে বাক প্রতিবন্ধী। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে পাহাড়ে থাকি।ঘটনার দিন সকাল দশটার দিকে আমার মেয়ে দশ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে খোরশেদ তালুক দোকানে যায়।পরে ২টার দিকে সে বাড়ি না ফেরায় খুজতে বের হন।তাকে দোকানের পার্শ্ববর্তী একটি ঘরের কার্নিশে দেখতে পাই পরে তাকে বাড়ি চলে যেতেে বলি।সে ওটে বাড়ির দিকে রওয়ানা দেয়।এর একটু পরে মামলার সাক্ষী ও ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শী নুরু ড্রাইভার আমাকে বলেন আমার মেয়েকে বকতিয়ার পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে নিয়ে ধষন করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যাই। আমার মেয়ে ইশারায় বলেন তাকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে টেনে পাহাড়ে নিয়ে গেছে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি অবগত করি। কিন্তু তিনি কোন সুরাহা করেননি।বরং একদিন আমাকে ঘুরিয়েছে। পরে আমার মেয়েকে নিয়ে দক্ষিণ রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ ছৈয়দ তালুকদার কাছে গেলে তিনি আমাকে তৎক্ষণাৎ থানায় যেতে পরামর্শ দেন। পরে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করি। এবং সেদিন আমাকে আর মেয়েকে থানায় রাখা হয়। পরদিন মেয়েকে মেডিকেল টেস্ট করেন। কিন্তু আজ আট দিন পেরিয়ে গেল ও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আমি এর সুস্থ বিচার দাবি করছি।
এদিকে প্রথমে ঘটনা সাজানো নাটক বলে দাবি করেন বখতিয়ারেরপরিবার।তার পরিবারের পক্ষে তার ভাগিনা মোঃ সেলিম জানান, আমাদের ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে।একপর্যায়ে তিনি দোষ স্বীকার করে বলেন বাদী পক্ষের সাথে সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য বসতে চেয়েছেন। কিন্তু তারা আর্থিক লেনদেনে রাজি হয়নি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ ছৈয়দ তালুকদার বলেন বাক প্রতিবন্ধী কিশোরি কে নিয়ে তার বাবা আমার কাছে এসেছিল।আমি তাদের থানায় যেতে পরামর্শ দিই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক এসআই মোঃ আবু বক্কর ভূঁইয়া জানান প্রাথমিকভাবে ধষন করা হতে পারে মনে হচ্ছে। আমরা আসামিকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান মামলার পর তরুণীর মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনো হাতে আসেন নি। মামলাটির তদন্তাধিন রয়েছে।