ব্যবসায়ীরা আজ দিশেহারা।
ব্যবসায়ীরা আজ দিশেহারা। দেশে সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ আগের মতো করে বাজার-সদাই করতে অক্ষম হয়েছে। আয়ের তুলনায় ব্যয় বৃদ্ধি হয়ে গেছে। অনেকের নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়ার অবস্থা। এই অবস্থায় ক্রেতা শূন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসায়ী ব্যবসা চালিয়ে নিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। যে দোকানে মাসিক এক লাখ খরচ হয় সেই অনুপাতে বিক্রি হচ্ছে না। প্রতিমাসে লজ দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এইভাবে আর কতোদিন। ব্যবসায়ীদে
দোকান ভাড়া, বাসা ভাড়া, গোডাউন ভাড়া, দোকেনের স্টাফ এর বেতন, বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক ঋন ও ব্যক্তিগত ঋন কিভাবে পরিশোধ করবে দেখার মত কেউ নেই । আল্লাহতালা সবাইকে ঋন পরিশোধ করার তৌফিক দান করুন ৷
আর অন্যদিকে নগরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা গুলোতে ফুটপাতের অধিকাংশই হকারদের দখলে চলে গেছে। রীতিমতো ফুটপাতকেই মার্কেট বানিয়ে ফেলেছে তারা। যে কাষ্টমার গুলি মার্কেটে এসে শপিং করার কথা তারা এখন ফুটপাত থেকে শপিং করে নিয়ে যাচ্ছে এই কারণে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পৃথিবীর কোন দেশে এইরকম ফুটপাত দখল করে জমজমাট ব্যবসা করার নীতি কোঁতাও নেই বল্লেই চলে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে হকার উচ্ছেদ অভিযান চললেও দিন কয়েক পর তা আবারও আগের রূপে ফিরে আসে।
রাজনৈতিকভাবে আশীর্বাদপুষ্টরাই এখন হকার মার্কেটে দোকানের মালিক। সমিতির নামে প্রতিদিন হকারদের কাছ থেকে নেয়া হয় চাঁদা। অভিযোগ আছে, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদেরও চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হয় হকারদের।