মগবাজারের ওয়াকফ ভবনের সামনে মানববন্ধন ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী ও ওয়ারিশরা।
রাজধানীর বড় মগবাজারের ফকির মাহমুদ ওয়াকফ এস্টেটে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্র্নীতির সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মগবাজারের ওয়াকফ ভবনের সামনে মানববন্ধন ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী ও ওয়ারিশরা।
গতকাল দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ফকির মাহমুদের নাতি হাজী মো: সাহিদ ভাসানী। তিনি বলেন, ১৯৪০ সালে মগবাজারের পেয়ারাবাগে এক একর ৩৮ শতক জমি ওয়াকফ্ করেন ফকির মাহমুদ। ওই জমিতে বর্তমানে আবাসিক, বাণিজ্যিক স্থাপনা, বাজার, স্কুল, মাদরাসা ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। অতীতে ভালোভাবে পরিচালিত হলেও ২০০৯ সালে আলমগীর সিদ্দিককে মোতোয়াল্লি নিয়োগ করার পর থেকে দুর্নীতির নানা অভিযোগ আসতে থাকে। ২০১৬ সালে আলমগীর সিদ্দিককে সরিয়ে নতুন মোতোয়াল্লি নিয়োগের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই নির্দেশনার ছয় বছর পার হলেও ওয়াকফ্ বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে গড়িমসি করছে।
সাহিদ ভাসানী বলেন, ওয়াকফ বোর্ড ছাড়াও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে আলমগীর সিদ্দিকের ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এক কোটি ২৬ লাখ টাকার দুর্নীতির তথ্য প্রামাণসহ চিঠি উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রভাবশালী মহলের চাপে এসব অভিযোগের কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ওয়াকফ বোর্ডের শুনানিতেও আলমগীর উপস্থিত হন না।
তিনি আরো বলেন, মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আছমা জেরিন ঝুমু ওয়াকফ এস্টেটের ১৫ কাঠা জায়গা দখল করে বস্তি বানিয়েছেন। মূলত ঝুমু ও আলমগীর মিলে এ ওয়াকফ এস্টেটকে একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। এদের সাথে ওয়াকফ ভবনের কিছু কর্মকর্তাও জড়িত রয়েছেন। ফকির মাহমুদ ওয়াকফ এস্টেটের বর্তমান মোতোয়াল্লি আলমগীরের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে নতুন মোতোয়াল্লি নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
কর্মসূচিতে আরো বক্তৃতা করেন, শুকুর ভাসানী, মো: আসাদুজ্জামান, নাসির ভাষানী প্রমুখ। এ ছাড়া হাজী মো: সুলতান মিয়া, হাজী আজুফা খাতুন, আব্দুল সাদেক রতন, শফিকুল ইসলাম টোকন, তরুণ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয় সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।