শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

হ্যান্ডমাইকে প্রচারণা করে ফুচকা ও ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন ক্ষুদে ফুচকাওয়ালা রাহিম।

হৃদয় খান,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

হ্যান্ডমাইকে প্রচারণা করে ফুচকা ও ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন ক্ষুদে ফুচকাওয়ালা রাহিম।

আসেন ভাই আসেন, গাড়ির নিকটে আসেন। উন্নতমানের ফুচকা ও ঝালমুড়ি বিক্রি করা হয়। অনেক মজার ঝালমুড়ি, এভাবে হ্যান্ডমাইকে প্রচারণা  করে ফুচকা ও ঝালমুড়ি বিক্রি করে যাচ্ছেন ক্ষুদে ফুচকাওয়ালা রাহিম মিয়া(১৩)। রাহিম মিয়া বানিয়াচং উপজেলার  ২ নং উত্তর -পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কুতুবখানী গ্রামের  জমির উদ্দিনের পুত্র। রামিম মিয়ার বাবা একজন দিনমজুর।১১ সদস্যের পরিবারের ভরনপোষণ জমির উদ্দিনের একার পক্ষে কষ্টসাধ্য।যে কারনে এই বয়সেই রাহিম মিয়াকে বেছে নিতে হয়েছে এই পেশা। যে বয়সে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা সে বয়সে সারাদিন গ্রামে -গ্রামে ফুচকা ও ঝালমুড়ি বিক্রি করে যাচ্ছেন রামিম। কখনো প্রাইমারি  বিদ্যালয়ের কাছে, কখনো এলাকার অলি-গলি, কখনো বা হাঁটে -বাজারে দেখা মিলে ক্ষুদে এই ফুচকাওয়ালার। গ্রামের মানুষ সাধারণত থাকে ক্ষুদে ফুচকাওয়ালা অথবা ঝালমুড়িওয়ালা নামেই চিনেন। পরিবারে ৪ ভাই ৫ বোনের মধ্যে রাহিম ৬ষ্ঠ।এই বয়সেই যেনো কাঁদে পড়ে গেছে সংসারের সকল দায়িত্ব। বড় ভাই মোজাক্কির আহমদ (২৮)এর কাছ থেকে চটপটি,ঝালমুড়ি, আচার, ফুচকা ইত্যাদি বানানো শিখেছেন রাহিম মিয়া। তার বড় ভাই মুজাক্কির আহমদ (২৮) ও সারাদিন ফুচকা,আচার,ঝালমুড়ি বিক্রি করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে হ্যান্ডমাইকে প্রচারণা  করে ফুচকা, ঝালমুড়ি  বিক্রির জন্য ঘুরে বেড়ায় ক্ষুদে ফুচকাওয়ালা রাহিম । প্রচারণা  শুনে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই উপহার হিসেবে টাকা দিতে চান, কিন্তু সে  কারও দয়া গ্রহণ করে না। ফুচকা,ঝালমুড়ি  কিনলেই বরং সে খুশি। বানিয়াচং উপজেলা সদরের পায়েল ঠাকুর ও নিহাদ ঠাকুর  নামের দুই স্কুলছাত্র  জানান, রাহিম মিয়ার প্রচারণা করে ফুচকা ও ঝালমুড়ি বিক্রি করার ফলে  অনেকেই ছুটে আসেন ফুচকা ও ঝালমুড়ি খেতে। ফুচকা এবং ঝালমুড়ি বিক্রির প্রচারণা যতটা সুন্দর, খেতে ঠিক ততটাই সুস্বাদু।

এ ব্যাপারে ক্ষুদে ফুচকাওয়ালা রাহিম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,দুই বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছি। বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ফুচকা,চটপটি, ঝালমুড়ি বানানো শিখেছি।প্রতিদিন আমি ৫০০-৬০০ টাকার ফুচকা বিক্রি করতে পারি।  আমরা দুই ভাই সারাদিন গ্রামে-গ্রামে ফুচকা এবং ঝালমুড়ি বিক্রি করে পরিবারের ভরনপোষণ পূরণ করে থাকি।ক্ষুদে এই ঝালমুড়ি ও ফুচকাওয়ালা রাহিম আরো বলেন,আমাদের দুই ভাইয়ের ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রি করার ফলে বাবাকে আর মানুষের বাড়িতে কাজ করতে হয়না। বাবা অনেক সময় কাজ করতে চাইলে আমরা কাজ করতে বাঁধা দেই। কেননা বাবাকে আমাদেরকে ছোট থেকে লালন-পালন করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102